দক্ষিণ আফ্রিকার আরেকটি সিরিজ জয়ের হাতছানি

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

ডানেডিনে বৃষ্টিবিঘ্নিত প্রথম টেস্ট হয়েছিল ড্র। ওয়েলিংটনে দ্বিতীয় টেস্টে নিউজিল্যান্ডকে তিন দিনেই হারিয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা। শনিবার হ্যামিল্টনে শুরু তৃতীয় ও শেষ টেস্ট জিতলে কিংবা ড্র করলেই সিরিজ জয়ের উৎসব করবে প্রোটিয়ারা।

দুই দলই দীর্ঘ একটা মৌসুম পার করছে। দুই দল টেস্ট মৌসুম শুরু করেছিল ২০১৬ সালের আগস্টে। এই সময়ের মধ্যে দুই দল ম্যাচও খেলেছে সমান ১১টি করে। সময়টা যদিও নিউজিল্যান্ডের চেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকারই ভালো কেটেছে। প্রোটিয়ারা র‍্যাঙ্কিংয়ে সাত নম্বরে থেকে মৌসুম শুরুর পর জিতেছে টানা তিন সিরিজ- ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে, অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে, ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে।

হ্যামিল্টনে যদি দক্ষিণ আফ্রিকা জিতে যায়, আর ওদিকে ধর্মশালায় অস্ট্রেলিয়া ভারতের কাছে হেরে বসে তাহলে র‍্যাঙ্কিংয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে যাবে প্রোটিয়ারা। সেই সঙ্গে নিশ্চিত হবে তাদের ৫ লাখ ডলার অর্থ পুরস্কারও। জিতবে এই মৌসুমে টানা চার টেস্ট সিরিজ।

অন্যদিকে নিউজিল্যান্ড এই মৌসুমে প্রত্যাশামতো পারফর্ম করতে পারেনি। র‍্যাঙ্কিংই এর বড় প্রমাণ। পাঁচ নম্বরে থেকে মৌসুম শুরু করেছিল তারা, এখনো আছে সেই পাঁচ নম্বরেই। এটা ধরে রাখতে হলেও দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে সিরিজটা করতে হবে ড্র। হ্যামিল্টনে জয় ব্যতিত অন্য যে কোনো ফলই কিউইদের র‍্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে দেবে।

নিউজিল্যান্ড দক্ষিণ আফ্রিকাকে টেস্টে হারানোর স্বাদও একরকম ভুলতে বসেছে! কিউইরা প্রোটিয়াদের সবশেষ টেস্টে হারিয়েছে ১৩ বছর আগে, ২০০৪ সালে অকল্যান্ডে। এরপর দুই দলের ১৫ বারের দেখায় ১০টিই জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বাকি পাঁচটি ম্যাচ দেখেছে ড্র।

 

পরিসংখ্যানের হিসাব তো আছেই, সঙ্গে চোটে প্রায় জর্জরিত নিউজিল্যান্ড শিবির। চোটের কারণে ওয়েলিংটন টেস্টে খেলতে পারেননি রস টেলর ও ট্রেন্ট বোল্ট। দুজন খেলতে পারবেন না শেষ টেস্টেও। তাদের সঙ্গে চোট ছিটকে দিয়েছে টিম সাউদিকেও। হ্যামিল্টনের সেডন পার্কে তাই নিউজিল্যান্ডের জন্য কঠিন পরীক্ষাই অপেক্ষা করছে।

সূত্র: রাইজিংবিডি