ত্রিভূজ প্রেমের বলি হলেন সুশান্ত, প্রেমিকার সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন!

বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত মারা গেছেন। ১৪ জুন নিজের বাসভবনে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। সেই থেকেই তার মৃত্যু নিয়ে উত্তাল বলিউড। প্রতিদিনই খবরের পর খবর প্রকাশ হচ্ছে সুশান্তের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে। অনেকে এরইমধ্যে বিরক্ত হয়ে এই মৃত্যু নিয়ে বাড়াবাড়ি হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন।

এদিকে দিন যতোই ঘনিয়ে আসছে ততোই এই মৃত্যুকে ঘিরে খলনায়িকা হয়ে উঠছেন সুশান্তের প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তী। বিশেষ করে নেটিজেনদের কাছে তিনিই এই মৃত্যুর মূল নায়িকা। সোশাল মিডিয়ায় ‘অ্যারেস্ট রিয়া’ হ্যাশট্যাগও ভাইরাল।

এই পরিস্থিতিতে অন্যায় মিডিয়া ট্রায়ালের অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন রিয়া। অন্যদিকে গোয়েন্দাদের জেরায় আবার আলোচনায় উঠে এল, রিয়ার স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ। যা মাত্র এক বছরে বেড়েছে ১০০০ শতাংশ!

সোমবার (১০ আগস্ট) শীর্ষ আদালতে জমা করা হলফনামায় রিয়ার বক্তব্য, ‘মিডিয়ায় সুশান্তের মামলা নিয়ে অকারণ কাটাছেঁড়া হচ্ছে। মামলার সাক্ষীদের জেরা, পাল্টা জেরা করা হচ্ছে। সুশান্তের মৃত্যুতে খুনের তত্ত্ব প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগেই আবেদনকারীকে মিডিয়া দোষী সাব্যস্ত করে ফেলেছে।’ রিয়ার দাবি, টুজি কেলেঙ্কারি এবং তলওয়ার খুনের মামলাতেও এটাই হয়েছিল, কিন্তু পরে দু’টি ক্ষেত্রেই অভিযুক্তরা কোর্টে নির্দোষ প্রমাণিত হন। তিনিও নির্দোষ হবেন।

এদিকে অনেকেই সুশান্তকে ত্রিভূজ প্রেমের বলি মনে করছেন। যে অ্যাম্বুল্যান্স চালক আর সি কুপার হাসপাতালে সুশান্তের দেহ নিয়ে গিয়েছিলেন, সেই অক্ষয় ভাণ্ডকর এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, অ্যাম্বুল্যান্সে তোলার পরও সুশান্ত বেঁচে ছিলেন। তাঁর দেহ হলুদ হয়ে গিয়েছিল। গোড়ালির নীচের অংশ ভেঙে ঝুলছিল। চালকের দাবি, আত্মহত্যার ক্ষেত্রে দেহের এমন পরিবর্তন একটু অস্বাভাবিক। তার এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতেই বিজেপির সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর দাবি, ময়নাতদন্তের দায়িত্বে থাকা পাঁচ চিকিৎসককে জেরা করুক সিবিআই।

স্বামীর এই টুইটের প্রেক্ষিতে আবার অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের বক্তব্য, ‘মনে হয় এই মামলায় বড় বড় নাম জড়িত। কেউ একজন তাদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে। এটা ত্রিকোণ প্রেমের ঘটনা। অনেক নাম সামনে আসা বাকি। #অ্যারেস্ট রিয়া।’

রিয়াকে এদিন দ্বিতীয় দফায় জেরা করে ইডি৷ রিয়ার ভাই শৌভিক, বাবা ইন্দ্রনীল চক্রবর্তীকেও জেরা করেন ইডি আধিকারিকরা। জেরা করা হয়েছে সুশান্ত-রিয়ার বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানি ও ম্যানেজার শ্রুতি মোদীকেও।

সূত্রের খবর, ইডির জেরা যত এগিয়েছে ততই কোণঠাসা হয়েছেন রিয়া। তার আয় ব্যায়ের হিসেবে মিলেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ২০১৭-১৮ সালে রিয়ার আয় ছিল ১৮,৭৫,০০০ টাকা। ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে তা কমে হয়েছে ১৮,২৩,০০০ টাকা। এই অবস্থায় কীভাবে তিনি দু’টি বিশাল ফ্ল্যাট ও দামি গাড়ি কিনেছেন সেই প্রশ্ন উঠছে।

 

সুত্রঃ জাগো নিউজ