ত্রাণে অনিয়ম: এবার বরখাস্ত একই ইউপির চেয়ারম্যানসহ ৭ সদস্য

ত্রাণ ও চাল আত্মসাতের অভিযোগে ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইনামুল হাসান ও ৬ সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়।

বুধবার স্থানীয় সরকার বিভাগ হতে এ সংক্রান্ত পৃথক প্রজ্ঞাপণ জারি করা হয়। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হবার পর এ নিয়ে মোট ৬৬ জন জনপ্রতিনিধিকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।  এদের মধ্যে ২১ জন ইউপি চেয়ারম্যান, ৪২ জন ইউপি সদস্য, ১ জন জেলা পরিষদ সদস্য এবং ২ জন পৌর কাউন্সিলর।

গোপালপুর ইউপির চেয়ারম্যান ছাড়া সাময়িকভাবে বরখাস্তকৃত অন্যরা হলেন- ১ নং ওয়ার্ডের মো. ওবায়দুর রহমান, ২ নং ওয়ার্ডের মো. বাকিয়ার রহমান, ৪ নং ওয়ার্ডের ইব্রাহিম শেখ, ৫ নং ওয়ার্ডের মো. রেজাউল করিম, ৯ নং ওয়ার্ডের মো. অলিয়ার রহমান, এবং ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য মোসা. স্বপ্না বেগম।

প্রজ্ঞাপণে বলা হয়, গোপালপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইনামুল হাসানের বিরুদ্ধে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সুবিধাভোগীদের তালিকা প্রণয়নে অনিয়ম, চাকরি দেয়ার নামে অর্থ আত্মসাৎ, আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর প্রদানের নামে অর্থ আদায়, এলজিএসপি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ এবং ইউপি ট্যাক্সের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। উল্লেখিত ৬ সদস্যের নামেও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল আত্মসাৎ, ভিজিডির চাল আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।

তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছেন। তাদের এই অপরাধ মূলক কার্যক্রমের প্রেক্ষিতে তাদের দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে। কাজেই স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী তাদের স্বীয় পদ হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।

একইসময় সাময়িকভাবে বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের পৃথক পৃথক কারণ দর্শানো নোটিশে কেন তাদেরকে চূড়ান্তভাবে তাদের পদ থেকে অপসারণ করা হবে না তার জবাব পত্র প্রাপ্তির ১০ কার্য দিবসের মধ্যে ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রেরণের জন্য অনুরোধ করা হয়।