ত্বকে আঁচিল ও কালো দাগ সমস্যায় কী করবেন

অনেকের ত্বকে আঁচিল, কালো দাগ ও কড়া পড়ে থাকে। সাধারণ শক্ত জুতা পরলে পায়ে কড়া পড়তে পারে ও কালো দাগ হতে পারে।

 

পায়ের অ্যাঙ্কলে মেলিওলাস নামক হাড় উঁচু হয়ে থাকে, সেখানেও কড়া পড়ে এবং চামড়ায় মোটা কালো ছোপ পড়ে যায়। বিশেষ করে যারা মাটিতে বাবু হয়ে বসে খাবার খান বা কাজ করেন, তাদের সমস্যা বেশি হয়।

যারা নিয়মিত ভারী জিনিসপত্র হাতে ধরে তোলেন, তাদের হাতের তালুতে কড়া পড়ে যায়। নির্মাণকাজের সঙ্গে যুক্ত মানুষ, কল-কারখানার শ্রমিকদের হাতের তালুতে এমন কড়া দেখা যায়। জিমে গিয়ে মাত্রাতিরিক্ত ভারী ওজন তোলার মতো পরিশ্রম করলেও হাতের তালুতে কড়া পড়ে যেতে পারে। বক্সিংয়ের মতো খেলার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি যারা প্র্যাকটিসের সময় গ্লাভস পরেন না, তাদের আঙুলের গাঁটে কড়া পড়ে যেতে পারে।

শরীরের কোনো অংশে কালো দাগ নানা কারণে হতে পারে। আর আঁচিলের সমস্যা প্রাকৃতিকভাবে হয়ে থাকে।

আঘাত থেকে কালো দাগ

শরীরের কোথাও আঘাত লাগার ক্ষত তৈরি হয়। এ ক্ষত শুকিয়ে যাওয়ার পর সেখানে ঘন কালো দাগ তৈরি হতে পারে। এ অবস্থাকে বলে পোস্ট ইনফ্লেমেটরি হাইপার পিগমেন্টেশন।

লাইকেন প্ল্যানাস পিগমেনটোসাস

শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার গণ্ডগোলের কারণে এমন হয়। রোগীর মুখে, ঘাড়ে, চোখের পাশে কালো কালো ছোপ দেখা যায়।

আঁচিল

মুখ ও গলায় বড়সড় আঁচিল দেখা যায়। আঁচিলের জন্য দায়ী হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস। কেউ কেউ ধারালো ব্লেড দিয়ে আঁচিল কাটতে শুরু করেন। সেখান থেকে রক্তপাত ও সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।

তাই মুখে কোনো রকম কালো প্যাঁচ হলে নিজে থেকে ডাক্তারি না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াই বাঞ্ছনীয়।

অ্যাক্যান্থোসিস নাইগ্রিকানস

ঘাড়ে, বগলের তলায় কালো ছোপ পড়ে ও চামড়া মোটা হয়ে যায়। এ সমস্যার নাম অ্যাক্যান্থোসিস নাইগ্রিকানস।

স্থূলকায় ব্যক্তি, টাইপ-২ ডায়াবেটিসের সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তি, পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোমে আক্রান্ত মহিলাদের এ সমস্যা দেখা দিতে পারে।

মূল সমস্যার চিকিৎসা হলে এ ধরনের উপসর্গও সেরে যায়।

কী করবেন

ত্বকে এসব সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

 

সূত্রঃ যুগান্তর