তোপের মুখে মঞ্চ ছাড়লেন নওফেল

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটের দুই দিন আগে বহিরাগতদের এলাকা ছাড়ার নির্দেশনা নির্বাচন কমিশন দিলেও সেটা না মেনে গাজীপুরে সংবাদ সম্মেলন ডেকে তোপের মুখে পড়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

রবিবার (২৪ জুন) দুপুর পৌনে ৩টার দিকে জাহাঙ্গীর আলমের ছয়দানা এলাকায় অবস্থিত নিজ বাসভবনের পূর্ব পাশের মাঠে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তোপের মুখে পড়েন ক্ষমতাসীন দলের এই নেতা। এরপর সংবাদ সম্মেলন শেষ না করেই মঞ্চ ত্যাগ করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দিয়ে সাংবাদিকদের কাছে প্রশ্ন আহ্বান করলে নির্বাচন কমিশনের নির্বাচনী আচরণবিধির বিষয়ে তার কাছে জানতে চান এক সাংবাদিক। প্রশ্ন করেন, নির্বাচনী প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বহিরাগত কেউ নির্বাচনী এলাকায় থাকার বিধান নেই?

নওফেল বলেন, ‘এ ধরনের কোনো নির্দেশনার কথা আমি জানি না। আপনারা কি সেটা দেখাতে পারবেন?’

তখন একজন স্থানীয় সাংবাদিক তার মোবাইল ফোন থেকে শনিবার রাত ১২টার পর বহিরাগতরা সিটি করপোরেশন এলাকায় অবস্থান করতে পারবেন না মর্মে নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধি দেখান তাকে।

এসময় নওফেল বলেন, ‘আমার জানা ছিল না, জানতাম ২৪ তারিখ রাত ১২টা পর্যন্ত এখানে প্রচার চালানো যাবে। নির্বাচন কমিশনের এই নির্দেশনার বিষয়ে জানতাম না। আপনারা যেহেতু নজরে এনেছেন, এখন আর মতবিনিময় সভা চালু রাখা হবে না।’

এরপর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্ন করার মধ্যে মঞ্চ থেকে নেমে যান আওয়ামী লীগ নেতা নওফেল।

পরে ‘বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ হলেও তাদের নিয়ে প্রচার চালানোর বিষয়ে’ এক প্রশ্নে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী জাহাঙ্গীর বলেন, ‘বহিরাগত তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও মামলার আসামিরা এখানে থাকবে না, সে দাবি আমারও ছিল। নির্বাচন কমিশন যদি এই আচরণবিধির বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি দিত বা চিঠি দিত, তাহলে আমরা পালন করতাম।’

‘আমরা নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত ছিলাম। এটা নজরে আসেনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘গাজীপুরে সব জেলার লোক থাকে। এটি একটি ব্যবসায়িক এলাকা। কারখানার অনেক মালিক আছেন, তারা আমার পক্ষে প্রচার চালিয়েছেন।’

আচরণবিধির বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও নেতারা ‘জানেন না’ বললেও গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জীব কুমার দেবনাথ সাংবাদিকদের জানান, এ ব্যাপারে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে গত ১২ জুন।

আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মণ্ডলকে বারবার ফোন করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা তরিফুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে কথা বলার এখতিয়ার কেবল রিটার্নিং কর্মকর্তার।’