তোপের মুখে ডরসি

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

কিছুদিন আগেই হিন্দুদের নিয়ে টুইট করে সমালোচনার জন্ম দিয়েছিলেন টুইটারের প্রধান নির্বাহী জ্যাক ডরসি। এবার মিয়ানমার নিয়ে টুইট করে তোপের মুখে পড়েছেন তিনি।

টুইটে জ্যাক ডরসি মিয়ানমারকে অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র বলে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু ইতোমধ্যেই মিয়ানমার জাতিগত গণহত্যা চালিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত।

গত মাসে মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চল ঘুরে যান ডরসি। ঘুরে যাবার পর তার ৪০ লাখ অনুসারীর জন্য টুইট করে জানিয়েছেন, মিয়ানমার অন্যতম একটি পর্যটন হতে পারে।

সেখানকার মানুষজন খুবই উৎফুল্ল এবং খাবারগুলো খুবই মজাদার।

এই টুইটের জের ধরেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সমালোচনার ঝড় উঠতে শুরু করে। কারণ, মিয়ানমার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর যে গণহত্যা চালিয়েছে তা সবার জানা। এত কিছু জানার পরও তা না জানার ভান করে এমন টুইট করেছেন বলেও মন্তব্য করেছেন অনেকে।

তবে বিষয়টিকে ‘বোবা’ হয়ে যাওয়া হিসেবেও অনেকেই বর্ণনা করেছেন ডরসির অনেক অনুসারী।

গত বছর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশটির রাখাইন রাজ্যে মুসলিম রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যা চালায়। দেশটিতে হাজার হাজার নারী-পুরুষকে হত্যা করা হয়, ধর্ষণ করা হয় হাজার হাজার নারীকে।

পরে আগস্টেই অন্তত সাত লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। এক বছর পার হলেও তাদের ফেরত নেবার তেমন কোন আগ্রহই দেখায়নি মিয়ানমার।
ইতোমধ্যে এমন মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার কথা জানিয়েছে জাতিসংঘ।

টুইটের প্রতিউত্তরে আল-জাজিরার এক প্রতিনিধি মোহাম্মদ জামজুম লিখেছেন, অন্তত কয়েকজন রোহিঙ্গার সাক্ষাৎকার করেছেন তিনি। যেখানে তাদের ওপর চলা নির্যাতনের বর্ণনা জানেন।

রোহিঙ্গাদের উপর চলা নির্যাতনের কথা জেনেও না জানার ভান করে আছেন ডরসি। এতে তিনি সত্যিই বাকরুদ্ধ বলে জানান।

ডরসির টুইটে অনেকেই সমালোচনা করলেও তিনি কোনটারই উত্তর দেননি। তবে তিনি টুইটের দায় স্বীকার করেছেন।

বিবিসি অবলম্বনে