তৃণমূলের প্রত্যাশার প্রতিফলন না করা গেলে সম্মেলন ফলপ্রসূ হবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আগামী আট ডিসেম্বর রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে জেলা আওয়ামী লীগ ও সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে ‘সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সভা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার শিল্পকলা একাডেমীতে দিনব্যাপি চলা এই সভায় আসন্ন সম্মেলনকে সফল করতে দলের নেতৃবৃন্দ তাদের মতামত উপস্থাপন করেন।

সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকলেও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজশাহী-১ আসনের সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন না। এ নিয়ে দলের নেতৃবৃন্দের মাঝে অসন্তোষ দেখা দেয়। যা নেতৃবৃন্দ তাদের ভাষণে স্পষ্ট তুলে ধরেন।

সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজশাহীর বাঘা-চারঘাট আসনের সাংসদ ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এই দুই নেতার দ্বন্দ্ব কেন্দ্রের নেতৃবৃন্দের মধ্যস্থতায় মিমাংসা করা হয়েছে। কেন্দ্রর পাশাপাশি জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক লিটন ভাই বলার পরো সভাপতি কেন তাদেরকে উপেক্ষা করছেন! এসময় তিনি দাবি করেন, তৃণমূলের নেতাকর্মীদের প্রত্যাশার প্রতিফলন না করা হলে আগামীর সম্মেলন ফলপ্রসূ হবে না।

সভায় আরো বক্তব্য দেন, রাজশাহীর পবা-মোহনপুর আসনের এমপি আয়েন উদ্দিন, বাগমারার সাংসদ এনামুল হক, পুঠিয়া দুর্গাপুর আসনের সাংসদ ডা. মনসুন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদসহ উপজেলা, পৌরসভা ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

সভায় নেতৃবৃন্দ দাবি করেন, জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটিতে বিদ্যমান বিরোধ মিমাংসা করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে নির্বচনের মাধ্যমে আগামীর নেতৃত্ব বাছাই করতে হবে। তাই আগামী সম্মেলনে কনো পদে একাধিক প্রার্থী থাকলে কাউন্সিলরদের ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচন করতে হবে। অন্ত:দ্বন্দ্বের কারণে আওয়ামী লীগ পিছিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, তৃণমূল যাকে চাইবে তাকেই নেতৃত্ব প্রদান করতে হবে। দলের স্বার্থেই এবারের জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাড়িয়েছে।

সভায় বক্তব্য দেন গিয়ে আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, আমি আমার কথা রেখছি। সভাপতি (ফারুক চেধুরী) কথা রেখেছেন কি না তা আপনারাই (আওয়ামী লীগ) দেখবেন। উপজেলা থেকে শুরু করে জেলা পর্যন্ত সকল স্তরেই সমালোচনা আছে। সংগঠনের সকল ব্যর্থতার দায়ভার নিজে গ্রহণ করে জেলা আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আগামীর সম্মেলন সফল করতে হবে। আর সেজন্য কাউন্সিলরদের মাধ্যমে নেতা নির্বাচিত করা হোক।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাসিক মেয়র ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি বলেন, গুণগত ও শিক্ষার দিক থেকে জেলা আওয়ামী লীগ অনকে সংগঠিত। উৎসবমুখর পরিবেশে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হবে। তবে নেতৃ যেভাবে চাইবেন, দল যেভাবে চাইবে সেভাবে যদি সংগঠন পরিচালিত না হয়, তবে সংগঠন সফল হবে না। আগামীর সম্মেলন সফল করতে উপকমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে। তারা কাজ করছে।

জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের সমন্বয়ক মেরাজ উদ্দীন মোল্লার সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সদস্য নূরুল ইসলাম ঠাণ্ডু।