তৃণমূলের ‘নতুন দায়িত্বে’ প্রশান্ত কিশোর!

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের ভূমিধস জয়ে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিলেন আইপ্যাকের কর্ণধার প্রশান্ত কিশোর। ২ মে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার দিনেই আইপ্যাকের কর্ণধার প্রশান্ত কিশোর আর ভোট–কুশলীর কাজ করবেন না বলে জানিয়েছিলেন। তবে বলেছিলেন, তার সংস্থা আইপ্যাক আগের মতোই কাজ চালিয়ে যাবে। এবার সেই প্রশান্ত কিশোরকে নতুন দায়িত্ব দিতে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। আগামী শনিবার তৃণমূল ভবনে সাংগঠনিক বৈঠকের পর বিষয়টি জানানো হতে পারে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

খবরে উল্লেখ করা হয়, ২০১৯ সালের জুলাই মাসে তৃণমূল কংগ্রেসের ‘পরামর্শদাতা’ হিসেবে নিয়োগের পর প্রশান্ত কিশোরের লক্ষ্য ছিল ‘মিশন ২০২১’। ২০২১ সালের নির্বাচনে বাংলায় বিজেপিকে রুখে দেওয়া গিয়েছে। বাংলায় ক্ষমতা ধরে রাখতে ‘দিদিকে বলো’, ‘বাংলার গর্ব মমতা’, ‘বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়’–সহ নানা কর্মসূচি নেয় আইপ্যাক। এবার তারা কোন ভূমিকায় ফিরে আসে বাংলায় এখন সেটাই দেখার।

খবরে উল্লেখ করা হয়, বিধানসভা নির্বাচনে দীর্ঘ খাটখাটনির পর মিলেছিল সাফল্য। ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ার মতো অনুভূতি হয়েছিল তখন। মুখে হাসি ফুটলেও শরীরে ছিল প্রবল ক্লান্তি। তাই একমাসের সবেতন ছুটি দেওয়া হয়েছিল। এবার তা কাটিয়ে ফের তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য কাজে ফিরছে আইপ্যাক।

খবরে আরও বলা হয়, নির্বাচনে হেরে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের ওপর চাপ বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। নির্বাচিত সরকারকে নানাভাবে বিপাকে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের। সেই পরিস্থিতিতেও তৃণমূল কংগ্রেসের কাজকর্ম এবং রণকৌশল ঠিক করতে কাজে নামছে আইপ্যাক। এবার আইপ্যাকের সদস্যরা পরবর্তী নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছেন বলে খবর। একুশের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের জয় নিশ্চিত করতে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি কোণে গিয়ে ৫০০ জনের দল দু’বছর পড়ে থেকে কাজ করেছিল।

এই বিষয়ে আইপ্যাকের এক প্রতিনিধি বলেন, ‘আমাদের কাজ নির্ভর করে পোস্টিংয়ের ওপর। যখন যে এলাকার দায়িত্ব মেলে, সেই এলাকার দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হয়। এটা সবার জন্যই প্রযোজ্য। গত দু’বছর আমরা সেই নির্দেশ মেনেই কাজ করেছি। এখন আমরা অপেক্ষা করছি।’‌