তুরস্কের সব ধরনের পণ্য বর্জন করতে সৌদি নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সে দেশের চেম্বার অব কমার্স। সংস্থার প্রধান বলেছেন আমদানি, বিনিয়োগ এবং পর্যটনসহ তুরস্কের সমস্ত কিছু বর্জন করা প্রত্যেক সৌদি নাগরিকের দায়িত্ব। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে গালফ নিউজ।
সম্প্রতি এক বক্তৃতায় তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, আরব উপসাগরের কিছু দেশ তুরস্ককে টার্গেট করেছে এবং এই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করার নীতি অনুসরণ করছে। এরদোয়ানের এমন বক্তব্যের পরই সৌদি চেম্বার অব কমার্স দেশটির নাগরিকদের এমন আহ্বান জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টে দেওয়া বক্তৃতায় এরদোয়ান বলেন, ‘এটা ভুলে যাওয়া উচিত হবে না, যে দেশগুলোকে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে; গতকাল সেগুলোর অস্তিত্ব ছিল না এবং সম্ভবত আগামীকালও থাকবে না। তবে আল্লাহর অনুমতিক্রমে এই অঞ্চলে আমাদের পতাকা চিরতরে উড়তে থাকবে।’
এরদোয়ানের এই বক্তব্যের পর তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। এই বক্তব্যের পরই তুর্কি পণ্য বর্জনের আহ্বান জানান সৌদি চেম্বার অফ কমার্সের প্রধান আজলান আল আজলান। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতৃত্ব, আমাদের দেশ এবং আমাদের নাগরিকদের বিরুদ্ধে তুর্কি সরকারের অব্যাহত বৈরিতার প্রতিক্রিয়া হিসাবে আমদানি, বিনিয়োগ বা পর্যটন যাই হোক না কেন, প্রতিটি সৌদি- ব্যবসায়ী এবং ভোক্তার দায়িত্ব তুরস্কের সমস্ত কিছু বয়কট করা।’
তুরস্কের বর্তমান অর্থনীতি ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে। সৌদি কর্তৃপক্ষ যদি এই বয়কট নীতি অনুসরণ করে তাহলে হাজার হাজার তুর্কি রপ্তানীকারক বিপদে পড়বেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে ২০১৮ সালে আলোচিত সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের মারাত্মক অবনতি হয়।
সূত্রঃ কালের কণ্ঠ