তুচ্ছ ঘটনায় রাবি ছাত্রলীগের সিনিয়র নেতাকে জুনিয়রের কর্মীর মারধর

নিজস্ব প্রতিবেদক:
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই জুনিয়র কর্মীর বিরুদ্ধে এক সিনিয়র নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হলে মারধরের এই ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার মো. আব্দুর রাকিব বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগ থেকে মাস্টার্স শেষ করেছেন। বর্তমানে তিনি এমফিল করছেন। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির সদস্য তিনি।

অপরদিকে, অভিযুক্তরা হলেন মো. অভি সরকার এবং মো. কাউসার। তারা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী এবং ভাষা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।

হল সূত্রে জানা যায়, রবিবার রাতে রাকিবের রুমমেট জাহিদের বন্ধু অভি ভুলবশত রাকিবের জুতা নিয়ে চলে যায়। রাতেই অভিকে ফোন করে জাহিদ জুতা ফিরিয়ে দিতে বলেন। সোমবার সকালে রাকিবের কক্ষের সামনে অভি জুতা রেখে যায়। বিকালে অভি ও কাউসার আবার ওই কক্ষে গেলে রাকিব ও অভির মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে অভি, কাউসারসহ কয়েকজন রাকিবকে মারধর করে। পরে সহ-সভাপতি সাদ্দাম এসে তাদেরকে থামানোর চেষ্টা করেন।

মারধরের শিকার রাকিবের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, ‘সকালে জুতা ফিরিয়ে দেওয়ার পর বিকেলে অভি আবার আমার রুমে আসে। এ সময় কেন সে জুতা নিয়েছিল জানতে চাইলে সে ও তার বন্ধুরা মিলে আমাকে মারধর করে।’

রাকিব আরও জানান, ‘আবাসিকতা ছাড়াই সাদ্দাম রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অভি, কাউসারসহ তার কয়েকজন অনুসারীকে হলে সিট দিয়েছে। আমার রুমমেট জাহিদ এই হলের ছাত্র হলেও এখনও সে আবাসিকতা পাননি। সাদ্দামের নির্দেশেই জাহিদ কয়েক সপ্তাহ ধরে আমার রুমে অবস্থান করেছে।’

মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন অভিযুক্ত অভি ও কাউসার। তারা বলেন, ‘জুতা নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। তাই বিকেলে আমরা বড় ভাইয়ের (রাকিব) সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। তার সঙ্গে সামান্য ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। কোন মারধরের ঘটনা ঘটেনি।’

এ বিষয়ে সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘রাকিব আর অভির মাঝে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে সামান্য কথা কাটাকাটি হয়েছিল। আমি যেয়ে বিষয়টি মীমাংসা করে দেই। কোন মারধরের ঘটনা ঘটেনি।’ হলে সিট দেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘ওরা রাতে হলে থাকে না। এই হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হওয়ায় প্রায়ই হলে যাওয়া আসা করে।’

স/অ