তুচ্ছ ঘটনায় নগরীতে ব্যবসায়ী কর্মচারিকে মারপিটসহ দোকান ভাঙচুর

নিজস্ব প্রতিবেদক:

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নগরীর সাহেববাজার এলাকায় এক ব্যবসায়ীর কর্মচারিকে মারপিট করে দোকান ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে দুই জন আহত হয়েছেন। শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সাহেববাজর মনিচত্তর রেনেসাঁ গ্লাস ফেয়ার থাই এ্যালুমিনিয়ান দোকানে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বোয়ালিয়া থানায় অভিযোগ দেয়ায় বোয়ালিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

জানা গেছে, বাবুল সরকার প্রায় ২৫ বছর থেকে সাহেব বাজার মনিচত্তর এলাকায় নূরুল হক সরকার দিগরের বিল্ডিং-এর নীচতলায় জামানত দিয়ে দোকান ঘর বরাদ্দ নেন। আড়াই বছর আগে বিল্ডিংটি ভেঙ্গে নতুন ভবন করা হয়। ভবনের বেইজমেন্টে বাবুল সরকার ‘রেনেসাঁ’ নামে গ্লাস ফেরার থাই এ্যালুমিনিয়ামের ব্যবস্যা করে আসছেন। তবে ওই বিল্ডিং-এর সোয়ারেজের ট্যাংকি ভবনের বেইজমেন্টের ওপরে। বেশ কিছুদিন থেকে পায়খানার ময়লা পানি ট্যাংকি চুয়ে নীচে পড়ে থাকে। এতে একদিকে দুর্গন্ধ ও অন্যদিকে এই পানি দোকানের মধ্যে ঢুকে যায়। পাশিপাশি টাইল্সসহ বিভিন্ন সামগ্রী নষ্ট হয়ে যায়। ভবনের মালিকদের বারবার বলা সত্বেও সমস্যাটি এড়িয়ে যায়। সমস্যা সমাধানের লক্ষে বাবুল সরকার মালিক পক্ষের সম্মতিক্রমে ৫ মাসের ভাড়া না দিয়ে কাজ করতে থাকেন। এ অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যায় মালিক পক্ষের লোকজনসহ ৫০ থেকে ৬০ জনের একটি দল দোকানে ভাঙচুর ও কর্মচারিদের মারপিট করে। এতে দুইজন কর্মচারি আহত হয়।

এব্যাপারে বাবুল সরকার বলেন, ‘দীর্ঘ ২৫ বছর যাবৎ তিনি ব্যবস্যা করে আসছেন। আড়াই বছর আগে মালিকপক্ষ পুরাতন বিল্ডিং ভেঙ্গে নতুন বিল্ডিং নির্মাণ করেন। পুরাতন ভাড়াটিয়া যারা আমরা ছিলাম তাদের সাথে বিল্ডিং ভাঙ্গার সময় চুক্তি ছিল দুই বছর নতুন বিল্ডিং-এ ভাড়া দিতে হবে না। কিন্তু সে চুক্তি তারা রাখেন নি। এরপরও আমরা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছি। আমার ঘরটি ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ডে হওয়ায় এবং পাঁচ ইঞ্চির গাথনি থাকায় ভবনের পায়খানার ময়লা পানি দোকানের মধ্যে চলে আসে এবং দুগন্ধে থাকা যায় না। ভবনের মালিকদের বিষয়টি নিয়ে বারবার বলেও কাজ হয় না। তাদের মৌখিক অনুমতিক্রমে পাঁচ মাসের ভাড়া না দিয়ে সমস্যা সমাধানে কাজ শুরু করি। এ অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যায় মালিক পক্ষের লোকজনসহ ৫০/৬০ জনের একটি দল দোকানে ভাংচুর ও কর্মচারিদের মারপিট করে। এতে দুইজন কর্মচারি আহত হয়’।

ভবনের মালিক পক্ষের নূরুল হক সরকার বলেন, ‘কয়েকমাস থেকে ভাড়া না দেয়ায় তাকে নমুনা দেখানো হয়েছে’।

বোয়ালিয়া থানা পুলিশ এসআই মাসুদ রানা বলেন, ‘ভাঙচুর ও মারপিটের ঘটনা সত্য। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। আমি উভয়পক্ষকে থানায় ডেকে নিয়ে মীমাংসার চেষ্টা করছি’।

স/অ