তীব্র গরমের পর হটাৎ স্বস্তির বৃষ্টি রাজশাহীতে, বিদ্যুৎ বিপর্যয় চলছেই

নিজস্ব প্রতিবেদক:

শ্রাবন শেষে চলছে ভাদ্র মাস। ভাদ্র মাসের গরমকে তাল পাকা গরমের সঙ্গে তুলনা করা হয়। গোটা শ্রাবন মাসে তেমন দেখা মেলেনি বৃষ্টির। বৃষ্টি হলেও তুলনামূলক ভাবে হয়নি বলেছে আবহাওয়া বিদরা।

যেহেতু শ্রাবন মাসে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। এবছর সেই তুলনায় বৃষ্টি হয়নি। ফলে প্রায় বৃষ্টিহীন কেটেছে পুরো মাস। শ্রাবনের পর আজ ভাদ্র মাসের চতুর্থ দিন। এ দিনটিও শুরু হয় গত কয়েকদিনের মতো আট ফাটা রোদ দিয়ে। ফলে আজ রবিবার সকাল থেকেই ব্যাপক গরম আর রোদে কাহিল হয়ে পড়েন রাজশাহীবাসী।

সকাল নয়টা বাজতে না বাজতেই রোদ-গরমের মিশেলে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন নগরবাসীসহ গোটা রাজশাহীর মানুষ। গরমে রাস্তায় বের হতেও ভয় পাচ্ছিল মানুষ। তবে দুপুর ২টার দিকে হটাৎ মেঘ করে হালকা কিছু বৃষ্টির দেখা মেলে। এর প্রায় ৩০ মিনিট পরে আবারো দমকা হাওয়ার সঙ্গে দেখা যায় বৃষ্টি। তাতেই একটু স্বস্তি নেমে আসে নগরজীবনে।

এদিকে সকাল থেকেই নগরীতে গরমের সঙ্গে বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে নগরজীবনে আরো নেমে আসে ভোগান্তি। গত কয়েকদিন থেকেই যেমন গরম, তেমন বিদ্যুৎ বিপর্যয় চলতে থাকে রাজশাহীতে। দুপুরে বৃষ্টির পরে একটু স্বস্তি নেমে এলেও নগরীর অধিকাংশ এলাকায় ছিল না বিদ্যুৎ।

টানা তাপদাহ শেষে এক পশলা বৃষ্টির পর স্বস্তি ফিরেছে রাজশাহীর জনজীবনে।

আজ রোববার নগরীতে বৃষ্টির দেখা মেলে। এই বৃষ্টিতে অনেকটাই স্বস্তি মেলে জনজীবনে। অবিরাম তাপদহ এর ফলে জনজীবনে অনেকটাই কষ্ট নেমে আসে। গত কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা হয়েছিল রাজশাহী অঞ্চলের মানুষের ৷

স্কুলছাত্র রায়হান বলেন, স্কুল ছুটি হলো। তাই বৃষ্টিতে ভিজে বাড়ি যাচ্ছি। অনেক বন্ধুরা আছে মজা হচ্ছে।

নগরীর উপশহর এলাকায় কথা হয় রিক্সা চালক সাইফুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, হালকা বৃষ্টি ভালোই লাগলো। একটু ভিজেছি। এতো গরমের কষ্টের পর বৃষ্টির দেখা পাওয়ার আনন্দটা অনেক।

স/আর