তিব্বত সীমান্তে সমরাস্ত্র মোতায়েন চিনের

সিল্কসিটনিউজ ডেস্ক:

তিব্বত সীমান্তে সামরিক শক্তির প্রদর্শন বাড়িয়ে চলেছে চিন৷ তিব্বতের লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলের(এলএসি) কাছে বেজিং যুদ্ধবিমান ও সেনার সংখ্যা আগের তুলনায় কয়েকগুণ বাড়িয়েছে বলে খবর  প্রকাশিত হয়েছে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে৷

গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এলএসির কাছে চিন সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন করা শুরু করেছে৷ খবরে প্রকাশ, চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি তিব্বতে ১৩টি এমআই-১৭ হেলিকপ্টার মোতায়েন করেছে৷ এই হেলিকপ্টার পরিবহণ ও যুদ্ধ- উভয় ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায়৷ এছাড়া ১০টি ফাইটার জেট, ২২টি কপ্টার এবং ১১টি ফাইটার বিমান মোতায়েন করা হয়েছে৷ অর্থাৎ আকাশপথের মাধ্যমে একদিকে যেমন কড়া নজরদারি চালাচ্ছে বেজিং, তেমনি সামরিক শক্তির প্রদর্শন বাড়িয়ে চলেছে৷

এর বাইরে তিব্বতের একাধিক জায়গায় যুদ্ধবিমান সাজিয়ে রেখেছে চিন৷ জানা গিয়েছে কাশির যুদ্ধঘাঁটিতে ৯টি চেংডুজে-৭ ফাইটার জেট, সুলে হেলিবাসের কাছে ৮টি চপার, দিং সিং বায়ুসেনা ঘাঁটির কাছে তিনটে জে-১১এস, চারটে জে-৭এস ইত্যাদি বিমান নামানো হয়েছে৷

এছাড়া ব্রুটসের কাছে বেইডু ন্যাভিগেশন স্যালেলাইট সিস্টেমের মাধ্যমে ভারতের গতিবিধির উপর নজর রাখছে চিন৷ এলএসির দশ কিমি এলাকা এই স্যালেলাইটের আওতায় চলে আসে৷ এলএসির এপারে ভারতের সেনাঘাঁটিতে স্যালেলাইটের মাধ্যমে নজরদারি চালাতে পারছে বেজিং৷ সূত্রের খবর, ২০২০ সালের মধ্যে তিব্বতে স্যালেলাইটের সংখ্যা ৩০-৩৫টির মতো বাড়াতে চায় চিন৷

চিনের এই পদক্ষেপকে ডোকলামের বদলা হিসাবেই দেখছে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রকের আধিকারিকরা৷ এক প্রাক্তন সেনার আধিকারিক জানিয়েছে, ডোকলাম নিয়ে চিন যা ল্যাজেগোবরে হয়েছে তা সহজে তারা ভুলবে না৷ ডোকলামের মতো একই পরিস্থিতি তিব্বতে তৈরি করতে চাইছে বেজিং৷ ভারতেও যোগ্য জবাব দেওয়ার জন্য তৈরি থাকতে হবে৷ কলকাতা 24