বৃহস্পতিবার , ৫ জুলাই ২০১৮ | ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

তিন সিটি ভোট: ‘কালো টাকা’ ঠেকাতে পর্যবেক্ষণ কমিটি

Paris
জুলাই ৫, ২০১৮ ১০:৪৭ পূর্বাহ্ণ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: 

আসন্ন তিন সিটি নির্বাচনে কালো টাকার প্রভাব ঠেকাতে প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয় পর্যবেক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রার্থী আইনে নির্ধারিত ব্যয় সীমা লঙ্ঘন করলেই প্রার্থিতা বাতিলসহ বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

৩০ জুলাই রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সিটি করপোরেশন নির্বাচন বিধিমালার ৪৯ বিধি অনুযায়ী, প্রার্থী তার ব্যক্তিগত ব্যয় এবং নির্বাচনী ব্যয় একটি আইনে নির্ধারিত অংকের বেশি ব্যয় করতে পারবেন না। কেউ এর বেশি ব্যয় করলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করার ক্ষমতা রাখে নির্বাচন কমিশন।

প্রার্থীরা নির্বাচনের পর একটি ব্যয়ের হিসাব রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দাখিল করেন। কিন্তু সেই ব্যয়ের সঙ্গে প্রকৃত ব্যয়ের হিসাব মেলে না বলে অনেকের অভিযোগ রয়েছে। নির্বাচনের ইতিহাসে আইনে নির্ধারিত ব্যয়সীমা প্রভাবশালী প্রার্থীরা কখনোই মানেননি এমন অভিযোগ নির্বাচন পর্যবেক্ষকদেরও। তারা সম্প্রতি ইসির সঙ্গে সংলাপে বসে নির্বাচনী ব্যয় মনিটরিংয়ের প্রস্তাব দেন। নির্বাচন কমিশনও তাতে সাড়া দিয়ে ব্যয় মনিটরিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

নির্বাচন কমিশন সর্বশেষ অনুষ্ঠিত গাজীপুর সিটি ও খুলনা সিটি নির্বাচনের জন্যও দু’টি পৃথক কমিটি গঠন করে দিয়ে ব্যয় মনিটরিং করেছে। সেই ধারাবাহিকতায় এবারও ব্যয় পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন করা হলো। তিন সিটি নির্বাচনের জন্য তিনটি পৃথক কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ছয় সদস্যের এই কমিটির প্রধান হলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা নিজে। অন্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন- সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের প্রতিনিধি, বিভাগীয় হিসাব নিয়ন্ত্রকের প্রতিনিধি ও একজন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।

এই কমিটির প্রধান কাজ হচ্ছে-
১) প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিলকৃত সম্ভাব্য ব্যয়ের হিসাব বিবরণীর সঙ্গে মিল রেখে কাজ করছেন কি-না তা পর্যবেক্ষণ করবে।

২) সিটি করপোরেশন নির্বাচন বিধিমালার ৪৯ বিধি ‍অনুযায়ী কাউন্সিলর প্রার্থীরা ব্যয় করছে কি-না তাও পর্যবেক্ষণ করবে।

এই কমিটিকে ব্যয় পর্যবেক্ষণ করে প্রতি দুইদিন পরপর প্রতিবেদন ইসিতে পাঠানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব ফরহাদ হোসেন স্বাক্ষরিত কমিটি গঠনের নির্দেশনা এরইমধ্যে সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে। যার অনুলিপি মন্ত্রপরিষদ বিভাগ, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কেও পাঠানো হয়েছে।

নির্বাচন আইন অনুযায়ী, কোনো প্রার্থী নির্বাচনী ব্যয়সীমা লঙ্ঘন করলে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করতে পারে নির্বাচন কমিশন। এমনকি নির্বাচিত হওয়ার পরও তার প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতা রয়েছে ইসির।

এ বিষয়ে ফরহাদ হোসেন বলেন, গাজীপুর ও খুলনা সিটি নির্বাচনে এই কমিটি গঠন করায় ভালো ফলাফল পাওয়া গেছে। তাই এবারও ব্যয় মনিটরিংয়ের জন্য তিনটি পৃথক কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে।

বাংলানিউজ

সর্বশেষ - সব খবর