তিনজনের একসঙ্গে জন্ম, বারবার সাফল্যও ধরা দিচ্ছে একসঙ্গে

পৃথিবীর দেখা পেয়েছিলেন তিনজন একসঙ্গে। সেই থেকে একসঙ্গে পথচলাও শুরু তিন ভাই-বোনের। পড়ালেখায়ও দুই ভাইয়ের প্রতিযোগী অন্য বোন। তবে কখনো কেউ কাউকে ছাড়িয়ে যেতে পারেননি।

এবার এইচএসসিতে এসেও সবাই সমানে সমান। গতকাল রবিবার প্রকাশিত এইচএসসি পারীক্ষার ফলে জিপিএ ৫ পেয়েছেন যমজ তিন ভাই-বোন মিয়াদ হাসান সান, মেহেদি হাসান ও মুশফিকা জাহান মুন।

যদিও জিপিএ ৫ তাদের ঘরে এখন প্রায় ডালভাত। এ নিয়ে চতুর্থবার জিপিএ ৫ পেলেন এই তিন যমজ ভাই-বোন। এর আগে ২০১৩ সালের প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় দৌলতখান মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তিনজনই জিপিএ ৫ পেয়েছিলেন। পরে দুই ভাই একই স্কুলে পড়ালেখা করলেও বোন ভিন্ন স্কুলে পড়ালেখা করেন। সেখান থেকে ২০১৬ সালে জেএসসি পরীক্ষায় এবং ২০১৯ সালের এসএসসি পরীক্ষায়ও তারা জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন।

মিয়াদ, মাহাদী ও মুন ভোলার দৌলতখান পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন ও বিবি ফাতেমা দম্পতির সন্তান। তিন ভাই-বোনের একসঙ্গে জিপিএ ৫ পাওয়ায় খুশি পরিবার।

তাদের মধ্যে মিয়াদ হাসান সান ও মেহেদি হাসান দৌলতখান সরকারি আবু আব্দুল্লাহ কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। অন্যদিকে তাদের যমজ বোন মুশফিকা জাহান মুন ঢাকার ভিকারুন নিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে জিপিএ ৫ পেয়েছেন।

একসঙ্গে পথচাল হলেও তাদের তিনজনের স্বপ্ন ভিন্ন। তাদের মধ্যে মুশফিকা বিসিএস ক্যাডার, মিয়াদ হাসান ইঞ্জিনিয়ার ও মেহেদী হাসান হতে চান বিমানচালক (পাইলট)।

তাদের এই সাফল্য অর্জন ও স্বপ্ন পূরণে তাদের বাবা মোসলেহ উদ্দিন ও মা বিবি ফাতেমা নিরলস চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তাদের সকল স্বপ্নই এই তিন সন্তানকে ঘিরে। ফাতেমা দৌলতখানের স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ও বাবা মোসলেহ উদ্দিন একজন ব্যবসায়ী।

দৌলতখান সরকারি আবু আব্দুল্লাহ কলেজের অধ্যক্ষ গোবিন্দ প্রসাদ সরকার জানান, তারা খুবই ভালো শিক্ষার্থী। তারা তাদের মেধাকে কাজে লাগালে যেকোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবে।

দৌলতখান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ তারেক হাওলাদার বলেন, ‘আমি এইচএসসি পরীক্ষায় যমজ এই তিন ভাই-বোনের জিপিএ ৫ পাওয়ার খবর শুনে খুশি হয়েছি। উচ্চ শিক্ষার জন্য তাদের কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে। ‘

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ