তিতাসের গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

সোমবার দ্বিতীয় দিনের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির গণশুনানি। এদিন তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি লিমিটেডের প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি গ্রহণ করা হবে।

সবচেয়ে বড় বিতরণকারী এই কম্পানিটি আবাসিকে এক চুলার মাসিক বিল ৬০০ টাকা থেকে ৮৩ শতাংশ বাড়িয়ে ১১০০ টাকা, দুই চুলা ৬৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২০০ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে।

অন্যদিকে মিটারযুক্ত আবাসিক গ্রাহকদের ১৪০ শতাংশ দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে। এতে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের মূল্য ৭ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ১৬ দশমিক ৮০ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে।

বৃ্দ্ধির তালিকায় মিটারযুক্ত আবাসিকের পরই রয়েছে ক্যাপটিভ পাওয়ার। এই খাতে ১৩০ শতাংশ দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে তিতাস গ্যাস। এই খাতে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের বর্তমান দর রয়েছে ৮ দশমিক ৩৬ টাকা।

দর বৃদ্ধির প্রস্তাবে ১৯ দশমিক ২৬ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া বিদ্যুতে ৬৩ শতাংশ, সার উৎপাদনে ৭১ শতাংশ, শিল্পকারখানার জন্য ৬২ শতাংশ এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে ৭২ শতাংশ দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে তিতাস গ্যাস।

রবিবার বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে গণশুনানি শুরু হয়েছে। সোমবার হচ্ছে দ্বিতীয় দিনের মতো গণশুনানি। মঙ্গলবার বিরতী দিয়ে ১০ আগস্ট পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কম্পানি, ১১ আগস্ট বাখরাবাদ গাস কম্পানি, ১৪ আগস্ট কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি, ১৬ আগস্ট জালালাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি ও ১৭ আগস্ট সুন্দরবন গ্যাস কম্পানির গ্রাহক পর্যায়ে দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবের ওপর শুনানি গ্রহণ করা হবে।

১৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে পেট্রোবাংলা, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস, সিলেট গ্যাস ফিল্ডস ও বাপেক্সের সরবরাহ করা গ্যাসের পাইকারি মূল্য বাড়ানোর বিষয়ে গণশুনানি হবে। এতে অংশ নিয়ে মতামত দেওয়ার সুযোগ রয়েছে ভোক্তাদের।

তবে সকালে উপস্থিত হয়ে আলোচনায় নিজের নাম লিপিবদ্ধ করতে হবে। এর আগে গত বছর আগস্টে গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাসের দাম গড়ে ২৬ দশমিক ২৯ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল, যা গত সেপ্টেম্বর কার্যকর হয়।

সূত্র: কালের কণ্ঠ