তিউনিসিয়া থেকে ফিরলেন ৩০ বাংলাদেশি

ইউরোপে যাওয়ার সময় ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার ৩০ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে টার্কিশ এয়ারওয়েজের (টিকে-৭২২) বিমানযোগে তারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। বর্তমানে তাদের দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের কাজ করছে বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ।

ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের হেড শরিফুল হাসান জানান, ফেরত আসা এই বাংলাদেশিদের প্রবাসীকল্যাণ ডেস্কের সহযোগিতায় বিমানবন্দরে জরুরি খাবার-পানি সহায়তা দেওয়া হয়। ফেরত আসা এই বাংলাদেশিরা জানিয়েছেন, চলতি বছরের শুরুর দিকে ভিজিট ভিসায় তারা প্রথমে দুবাই যান। এরপর দুবাই থেকে লিবিয়া হয়ে তিউনিসিয়া গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালির উদ্দেশে যাত্রা শুরু করার পর তাদের উদ্ধার করা হয়।

ব্র্যাক বলেছ, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশিদের এভাবে ইউরোপে যাওয়ার প্রবণতা বেড়েই চলেছে। এ বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট এই সময়ে অন্তত ৫ হাজার ২৭৮ জন বাংলাদেশি এভাবে ইউরোপে প্রবেশ করেছেন। আর গত ১২ বছরে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছেন প্রায় ৬৫ হাজার বাংলাদেশি। এর মধ্যে প্রায় ৪০ হাজারই গেছেন ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে। তাদের বেশির ভাগের বয়স ২৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।

ইউরোপে বাংলাদেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সংকট এখন এতটাই বেড়েছে যে বৈধ কাগজপত্র না থাকা অভিবাসীদের ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশের ওপর চাপ দিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ায় বাংলাদেশিদের ভিসায় সাময়িক কড়াকড়ি আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর আগে ২০১৭ সালে একই ধরনের চাপ দেওয়া হয়েছিল। এরপর বাংলাদেশ বৈধ কাগজপত্র না থাকা নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে ইইউর সঙ্গে একটি সমঝোতা স্বাক্ষর করে।

ফেরত আসা এই ৩০ জনের মধ্যে শরিয়তপুরের ৭, মাদারীপুর ৬, গোপালগঞ্জ ৪, টাঙ্গাইল ৩, ফরিদপুর ২, কিশোরগঞ্জ ২, সিলেট ২, কুমিল্লা, নোয়াখালী, মুন্সিগঞ্জ ও ঢাকার একজন করে রয়েছেন।

এর আগে ১৯ আগস্ট ১৩ জন, ১ জুলাই ১৭ জন এবং ২৪ মার্চ ৭ বাংলাদেশি একই পরিস্থিতির শিকার হয়ে দেশে ফিরে আসেন। আরো অনেক বাংলাদেশি ফেরত আসার অপেক্ষায়।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ