তিউনিশিয়ায় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য প্রথম ডিজিটাল জাদুঘর

আধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে জ্ঞানের জগতের সঙ্গে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের পরিচয় করিয়ে দিতে তিউনিশিয়ায় প্রথম বিশেষায়িত ডিজিটাল জাদুঘর চালু হয়।

তিউনিশিয়ার সাওস অঞ্চলে অবস্থিত বিশেষায়িত জাদুঘরটি উদ্বোধন করেন দেশটির সংস্কৃতি বিষয়ক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মন্ত্রী ড. ওয়ালিদ জায়দি।

‘সবার জন্য জাদুঘর’ প্রকল্পের আওতায় ব্রেইল অ্যাসোসিয়েশন ফর এডুকেশন অ্যান্ড কালচারের তত্ত্বাবধানে থ্রিডি অ্যান্ড এফ ও ন্যাশনাল হেরিটেজের সহযোগিতায় জাদুঘরটি স্থাপন করা হয়।

ওয়ালিদ জায়দি বলেন, ‘তিউনিশিনার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও ইতিহাস জানতে সমাজের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের সহায়তা করবে এই মহৎ উদ্যোগটি।’ এ ছাড়া তিউনিশিয়ার অন্যান্য জাদুঘরেও উদ্যোগটি শুরু করার তাগিদ দেন তিনি।

প্রকল্প পরিচালক আহমদ আশ শরফি বলেন, ‘সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে সমাজের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের পরিচয় করাতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়। সাওসের ডিজিটাল জাদুঘর ও বারদোর জাতীয় জাদঘরে প্রতিবন্ধীদের জন্য স্মার্ট ডিভাইসের সাহায্যে অডিও নির্দেশিকা স্থাপন করা হয়। প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন উপলব্ধি করতে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের বিশেষ যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। ব্রেইল প্রযুক্তির সাহায্যে ডিজিটাল প্রিন্টিংয়ের মাধ্যমে দৃষ্ট্রিপ্রতিবন্ধীদের জন্য বৈজ্ঞানিক বিষয় তৈরি ও অনুবাদে সহায়তা করাই এই প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্য।

উল্লেখ্য, ড. ওয়ালিদ জায়দি তিউনিশিয়ার ইতিহাসে প্রথম দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মন্ত্রী। ২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর হিশাম আল মাশিশি সরকার সংসদের অনুমোদন পেলে জায়দি সংস্কৃতিমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান। ১৯৮৬ সালের ২০ এপ্রিল জাদ এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন জায়দি। ছোটবেলায়ই দৃষ্টিশক্তি হারান তিনি। সাওস এলাকার দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের স্কুলে শিক্ষাগ্রহণ করেন। মানুবা বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনিই প্রথম সাহিত্য বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। মানুবা কলেজে অনুবাদ, অলঙ্কারশাস্ত্র ও সাহিত্য বিষয়ের অধ্যাপনা করেন তিনি। এ ছাড়া দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীর মনস্তত্ত্ববিষয়ক গবেষকও ছিলেন। মাত্র ৩৫ বছর বয়সে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হয়েও মন্ত্রীর পদাধিকার লাভ করে সবার নজর কাড়েন।

 

সূত্রঃ কালের কণ্ঠ