তাহেরপুরে এমপি-মেয়র গ্রুপের মধ্যে মারপিট, একজনের অবস্থা গুরুতর

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর স্থানীয় এমপি ও পৌর মেয়রের সমর্থকদের মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। এসময় একজনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। তিনি রাজশাহী-৩ আসনের (বাগমারা) এমপি এনামুল হকের সমর্থক আমান উল্লাহ আমান (৩০)।

স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে পেঁয়াজহাট দিয়ে যাচ্ছিলেন মেয়র কালামসহ তাঁর লোকজন। এসময় ওষুধের দোকানে বসে থেকে আমান এবং শাহীসহ কয়েকজন নেতাকর্মী মেয়র কালামকে উদ্দেশ্য করে অশ্লীল মন্তব্য করেন। এতে কালামের লোকজন ক্ষিপ্ত হোন। একপর্যায়ে উভয়পক্ষ বাকবিতণ্ডতায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে দু’গ্রুপের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে। এসময় মেয়র কালামের লোকজন আমানকে বেদম পিটিয়ে আহত করেন। এছাড়াও শাহীকে লাঞ্চিত করেন। পরে স্থানীয় নেতাকর্মীরা আমানকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করেন।

আমানের মা রিজিয়া খাতুন বলেন, আমার ছেলেকে অন্যায়ভাবে মারপিট করা হয়েছে। তাকে পিস্তলের বাট দিয়ে পেটানো হয়েছে। সে কোনো অপরাধ করেনি। তার ওপর এ হামলার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

আমানের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন বলে জানিয়েছেন রামেক হাসপাতালের আট নম্বর দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক অধ্যাপক রেজাউল হক। তিনি বলেন, বমি করার লক্ষণটি ভালো না। মাথায় গুরুতর আঘাতে আমানের মাথা থেতলে গেছে। এর ফলে রক্ত জমাট বেধেছে। এছাড়া তার ব্রেনে আঘাত আছে। একারণে মাঝে মাঝে জ্ঞান থাকছেন না। অনেক সময় ভুল বকছে। সিটিস্ক্যান রিপোর্ট হাতে পাবার পর তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মেয়র আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি ওই সময় বাড়ির দিকে যাচ্ছিলাম। এসময় একটি ওষুধের দোকানের পাশে কয়েকজন সর্বহারা ক্যাডার আমাদের দেখে অশ্লিল মন্তব্য করে। এতে আমার সমর্থকরা এগিয়ে গেলে কয়েকজন পালিয়ে যায়। এসময় ধ্বস্তাধস্তির কারণে একজন পড়ে গিয়ে সামান্য আহত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, এর আগে স্থানীয় এমপি এনামুল হকের বিরুদ্ধে গত সেপ্টেম্বরে সংবাদ সম্মেলন করে বাগমারা আসনের এমপি এনামুলকে আগামীতে মনোনয়ন না দেওয়ার জন্য দলীয় প্রধানের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। ওই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকিরুল ইসলাম সান্টু এবং তাহেরপুর পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদসহ তাঁদের কর্মী-সমর্থকরা।

এ ঘটনায় গত অক্টোবরে ৯ নেতার পদ সাময়িকভাবে স্থগিত করে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ। এখন পর্যন্ত তাদের পদের ওপর স্থগিতা করা হয়। এছাড়া কেন্দ্রের কাছে তাদের পদ থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করেছে জেলা আওয়ামী লীগ।

স/আর