তালেবান নেতাকে ‘বাছুর’ বলা সেই অধ্যাপকের মুক্তি

কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বনামধন্য শিক্ষক ফয়জুল্লাহ জালালকে ছেড়ে দিয়েছে তালেবান। এই শিক্ষক এক তালেবান নেতাকে নিয়ে তীর্যক মন্তব্য করেছিলেন।

কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক ফয়জুল্লাহ জালাল তালেবানের কট্টর সমালোচক এবং স্পষ্টবাদী হিসেবে পরিচিত। গত রোববার তালেবানের সশস্ত্র গোয়েন্দারা ‘উসকানিমূলক’ বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করে।

ফয়জুল্লাহ জালালকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার মেয়ে হাসিনা জালাল।

টুইটারে এক পোস্টে হাসিনা জালাল লেখেন, ভিত্তিহীন অভিযোগে চার দিনের বেশি আটক রাখার পর প্রফেসর জালালকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত আশরাফ গনি সরকারের পতনের পরও টেলিভিশনে হাজির হয়ে গভীর অর্থনৈতিক সঙ্কটের জন্য তালেবানকে দায়ী করেন ফয়জুল্লাহ।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ফয়জুল্লাহ জালাল সম্প্রতি তালেবানের অন্যতম মুখপাত্র মোহাম্মদ নাইমকে ‘বাছুর’ বলে অভিহিত করেন। এছাড়া তালেবান জোরপূরর্বক আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা (তালেবান) দেশের মানুষকে ‘গাধা’ মনে করে।

কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষককে গ্রেফতারের পর তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বা প্রফেসর পদ ব্যবহার করে কেউ যেন অন্য মানুষদের অসম্মান এবং বাজে পোস্ট না দিতে পারে, সেজন্য তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ফয়জুল্লাহ জালালকে ‘একজন চরমপন্থি’ হিসেবেও উল্লেখ করেন মুজাহিদ

তালেবানের এই মুখপাত্র জালালের টুইট করা একটি পোস্ট শেয়ার করেন। এই পোস্টে তিনি (ফয়জুল্লাহ জালাল) তালেবানের গোয়েন্দা প্রধানকে পাকিস্তানের ‘হাতের পুতুল’ হিসেবে উল্লেখ করেন।

জালালের স্ত্রী মাসৌদা ২০০৪ সালে হামিদ কারজাইয়ের বিপরীতে আফগানিস্তানের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ছিলেন।

 

সূত্রঃ যুগান্তর