‘তারা কথায় কথায় বাস ধর্মঘট ডাকে’

নিজস্ব প্রতিবেদক:
‘কোথায় কোন দেন দরবার নিয়ে ব্যক্তি স্বার্থে আঘত লাগলে সেই রাগ সাধারণ বাসযাত্রীদের ওপর চাপিয়ে দেয় বাস মালিক-শ্রমিকরা। একটু কিছু হলে তারা কথায় কথায় বাস ধর্মঘট ডেকে বসে। এতে করে আমরা সাধারণ মানুষ পড়ি বিপাকে। তারা তাদের স্বার্থের জন্য ধর্মঘট ডাকে। স্বার্থ হাসিল হলে তুলে নেয়। কিন্তু আমাদের যে ক্ষতি হয় সেটা কে পুশিয়ে দেবে আমাদের ?’

আজ সকাল সাড়ে ১০টায় রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ বাসস্টান্ডে এসে বাসের জন্য বসে থাকা নজরুল ইসলাম নামের এক বাসযাত্রী সিল্কসিটি নিউজে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আমি (নজরুল ইসলাম) একজন সরকারী চাকরীজীবী। ঈদে ছুটি পাইনি। তাই ঈদ বাড়ির বাইরে করতে হয়েছে। ঈদের পরে সাত দিনের ছুটিতে এসেছি রাজশাহীতে। যেতে হবে চাঁপাইনবাবগঞ্জে। ঢাকা থেকে নাটোর পর্যন্ত ট্রেনে এসেছি। তার পরে নাটোর এক আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলাম গতকাল। সকালে বাস স্ট্যান্ডে আসলে তারা বলে বাস নাকি বন্ধ। সেখান থেকে অটো ভাড়া করে রেল স্টেশনে আসলাম। তারপর ট্রেনে রাজশাহী পর্যন্ত আসলাম। এসে দেখি চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটেও বন্ধ বাস।’

আরেক যাত্রী মুনজুর রহমান বলেন, তাহলে আমার ছুটিতে আসার কি দরকার ছিল। বাস মালিক-শ্রমিকরা জিম্মি সারা জীবনী সর্বস্তরের মানুষকে জিম্মি করে আসে। বাবা দাদার আমল থেকে শুনি বাস-মালিক শ্রমিকরা একই রকম বেপরোয়া। তারা কারো কথা শোনে না।’

নজরুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের নাগরিক হিসেবে আমার মনে হয়। শ্রমিকদের আন্দোলনের অধিকার আছে। কিন্তু কয়েকজনের স্বার্থের জন্য সাধারণ মানুষের ওপর এ নির্যাতন করা তো ঠিক না। প্রশাসন চাইলে এদের ঠিক করতে বেশি সময় লাগবে না। আমারা চাই প্রাশাসন এইদিকে নজরদিলে হয়তো বা খুব দ্রুত সমাধান হবে।’

বাসযাত্রী নুসরাত জাহান সালমা সিল্কসিটি নিউকে জানায়, ‘আমারা বাস মালিক-শ্রমিকদের কাছে জিম্মি হয়ে আছি। তাদের ইচ্ছে মত বাস চালায় আবার ইচ্ছে হলে বন্ধ করে দেয়। চলছে তো ঠিক চলছে আবার বন্ধ হলে হঠাৎ করে তারা বন্ধ করে দেয়।’

তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে রাজশাহী-নাটোর রুটে বাস চলাচল বন্ধ ছিল। তার পরে তারা আবার তুল নেয়। আবার গতকাল থেকে চলছে বাস বন্ধ। দেখি রাজশাহী আর নাটোরের বাস মালিক-শ্রমিকদের বেশি ভেজাল লাগে। তাদের যখনি ভোজাল লাগে তার কিছুক্ষণ পরে ধর্মঘট শুরু।’

সালমা বলেন, ‘এই ধর্মঘটের নির্যাতন আমাদের বাসযাত্রীদের পোহাতে হয়। তারা তো স্বার্থের লোভে এগুলো করে। সরকার ও প্রশাসন চাইলে এর একটা সমাধান করতে পারে। আমরা সকলে এই ধর্মঘটের নির্যাতন থেকে বেরিয়ে আসতে চাই।’

এবিষয়ে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র ও রাজপাড়া থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার ইফতেখায়ের আলম সিল্কসিটি নিউজকে জানায়, এটা তো বাস মালিক-শ্রমিকদের বিষয়। তারা যদি আমাদের ডাকে তাহলে আসরা তাদের দুইপক্ষকে নিয়ে বসে একটা সমাধানের চেষ্টা করবো।

এসব নিয়ে বুধবার সকালে রাজশাহী বাস শ্রমিক নেতা কামাল হোসেন রবি ও মাহাতাব হোসেনের ফোনে একাধিবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে।

স/আর