তামাকের কর বৃদ্ধি দাবিতে রাজশাহীতে এসিডি ও আত্মার মানবন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক:
তামাকের কর নীতিমালা গ্রহণ এবং আসন্ন বাজেটে সকল তামাকজাত পণ্যের খুচরা মূল্যের সুনির্দিষ্ট পরিমাণ স্পেসিফিক এক্সাইজ ট্যাক্স নির্ধারণের দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেলা ১১ টায় নগরীর আলুপট্টি মোড়ে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে তামাক বিরোধী সংগঠন এ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্ট-এসিডি ও এন্টি ট্যোবাকো মিডিয়া এলায়েন্স-আত্মা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এসিডির হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজার শাহিনুর আলম, ফাইন্যান্স ডিরেক্টর পঙ্কজ কর্মকার,প্রজেক্ট সমন্বয়কারী মনিরুল ইসলাম পায়েল, মিরাজ উদ্দিন তালুকদার, এডভোকেসি অফিসার শরিফুল ইসলাম শামীম,প্রোগ্রাম অফিসার কৃষ্ণা বিশ্বাস, হাফিজ উদ্দিন পিন্টু, মো.তুহিন ইসলাম এবং আত্মার সদস্য পরিতোষ চৌধুরী আদিত্য, শরিফ সুমন প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, তামাক ব্যবহারজনিত রোগে দেশে প্রতিবছর প্রায় ১ লক্ষ মানুষ অকালমৃত্যু বরণ করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৪ সালের তথ্য বলছে, পৃথিবীর যেসব দেশে তামাকপণ্যের দাম অত্যন্ত সস্তা বাংলাদেশ তার মধ্যে অন্যতম। ফলে সামগ্রিকভাবে রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার, লাভবান হচ্ছে তামাক কোম্পানি। জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ ও অর্থনীতির উপর তামাকের নেতিবাচক প্রভাবের কথা বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন- “২০৪০ সাল নাগাদ তামাকমুক্ত বাংলাদেশ” বাস্তবায়নে তামাকের উপর কর বাড়িয়ে এর ব্যবহার কমাতে হবে।

এ সময় সিগারেটের ক্ষেত্রে মূল্যস্তরভিত্তিক কর-প্রথা, বিড়ির ক্ষেত্রে ট্যারিফ ভ্যালু প্রথা এবং গুল-জর্দার ক্ষেত্রে এক্স-ফ্যাক্টরি প্রথা প্রভৃতি বাতিল করে প্যাকেট/কৌটা প্রতি কার্যকরভাবে নির্দিষ্ট পরিমাণ স্পেসিফিক এক্সাইজ ট্যাক্স নির্ধারণ করার মাধ্যমে সিগারেটের প্যাকেট প্রতি খুচরা মূল্যের কমপক্ষে ৭০ শতাংশ পরিমাণ স্পেসিফিক এক্সাইজ ট্যাক্স নির্ধারণ, বিড়ির ট্যারিফ ভ্যালু তুলে দিয়ে প্যাকেট প্রতি খুচরা মূল্যের ৪০ শতাংশ পরিমাণ স্পেসিফিক এক্সাইজ ট্যাক্স নির্ধারণ, গুল-জর্দার ক্ষেত্রে ৭০ শতাংশ পরিমাণ স্পেসিফিক এক্সাইজ ট্যাক্স নির্ধারণ করার দাবি জানানো হয় যাতে সকল তামাকপণ্যের প্রকৃতমূল্য অধিক হারে বৃদ্ধি পায় এবং রাষ্ট্র তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য থেকে আরো অধিক পরিমানে রাজস্ব আয় করতে পারে।

মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

স/শ