তানোরে ১০৯ নম্বরে কল দিয়ে বন্ধ হলো বাল্যবিয়ে

তানোর প্রতিনিধি:
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের জাতীয় হেল্প লাইন ১০৯ নম্বরে কল করে বিথি হালদার (১৩) নামে এক স্কুলছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ হয়েছে। বিয়ের জন্য বিথির আত্মীয় সজনরা বাড়িতে এসে উপস্থিত হয়। রাত হলেই বিয়ে হয়ে যাবে বিথির। এমনকি বর যাত্রীদের রাতের খাবার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

কিন্তু উপজেলা প্রশাসনের হস্থক্ষেপে বিথির বাল্য বিয়ে হয়ে যায়। বিথি উপজেলার মুন্ডুমালা সদরের সাদিপুর এলাকার অরুণ হালদারের মেয়ে। সে স্থানীয় এক উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।

জানা গেছে, রবিবার দিবাগত রাতে পার্শ্ববর্তী গ্রামের নিজ হিন্দু সম্প্রদায়ের এক যুবকের সঙ্গে বিথি হালদারের বিয়ের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু ১৩ বছরের বিথির বিয়ে মেনে নিতে পারেনি প্রতিবেশী অনেকেই। এদের মধ্যে একজন সচেতন ব্যক্তি মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের জাতীয় হেল্প লাইন ১০৯ নম্বারে কল করে বিথির বাল্যবিয়ের খবর জানান।

পরে তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন বানুকে মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর থেকে বাল্য বিয়ে বন্ধের জন্য জরুরি পদক্ষেপ নিতে বলা হয়। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) থানার একদল পুলিশ সদস্যসহ রবিবার বিকালে বিথির বাড়িতে উপস্থিত হয়ে তার বিয়ে বন্ধ করে দেন। এ সময় বাড়িতে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অন্যরা পালিয়ে যান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাসরিন বানু বলেন, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর থেকে ফোন পাওয়ার পর বিথির বাল্যবিয়ে বন্ধের জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেয়া হয়। এ সময় পুলিশসহ নিজে উপস্থিত হয়ে বিয়ে বন্ধ করে তাৎক্ষণিক বিথির বাবা অরুণ হালদার ও মা দিপালী হালদারকে উপজেলা কার্যালয়ে ডেকে এনে বাল্যবিয়ে না দেয়ার শর্তে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।

স/অ