তানোরে হাটের কোটি টাকার জায়গায় আ’লীগ নেতার মার্কেট নির্মাণ

তানোর প্রতিনিধি : 

রাজশাহীর তানোর পৌরসভার কালিগঞ্জ হাটের ইজারাদার ও মেয়র এবং ভূমি অফিসের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাদের মদদে কোটি টাকা মূল্যের সরকারী জায়গায় আ’লীগ নেতা ওহাব হোসেন লালু  বিশাল মার্কেট নির্মাণ করেছেন ও আনোয়ার এবং সিদ্দিকের নির্মান কাজ চলমান আছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এমনকি জায়গাগুলো সরকার একোয়ার করার পরও শুধু ক্ষমতার দাপটে গাছ কেটে মার্কেট নির্মান করছেন বলে ব্যবসায়ীরা নিশ্চিত করেন। অথচ পৌরসভা কালিগঞ্জ হাট থেকে প্রায় ৬০ লাখ টাকায় নিলাম হলেও জায়গা রক্ষার বিপরীতে বানিজ্য শুরু করেছেন। কারন এর আগে তানোর পৌরসভার প্রথম মেয়র প্রয়াত এমরান আলী মোল্লা ও প্রয়াত ফিরোজ সরকার এবং মিজানের সময় মার্কেট হয়নি। কিন্তু পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি ইমরুল হক মেয়র হওয়ার পর থেকে হাটের জায়গাগুলো বেদখল হয়ে পড়ছে।

এতে করে সরকার রাজস্ব হারালেও লাভবান হচ্ছেন হাট ইজারাদার ও কতিপয় ভূমি কর্মকর্তা রা। কারন তাদেরকে মোটা অংকের টাকা দিলেও মার্কেট নির্মান করা যায় বলে ব্যবসায়ীদের অহরহ অভিযোগ। ফলে দ্রুত মার্কেটগুলো ভেঙ্গে সরকারের আয়ত্বে নিতে ভূমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। নচেৎ হাটের জায়গাগুলো ফাঁকা থাকবে না বলেও মনে করছেন দীর্ঘ দিনের হাট ব্যবসায়ীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, তানোর টু কালিগঞ্জ মুল রাস্তা থেকে হাটে প্রবেশের রাস্তার  দক্ষিণ ও ব্রীজের পশ্চিম দিকে বিশাল আকারের মার্কেট নির্মান করে লাখলাখ টাকা সিকিউরিটি নিয়ে ভাড়া দিয়েছেন উপজেলা আ”লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ওহাব হোসেন লালু এবং তার মার্কেটের পশ্চিমে আনোয়ার ও সিদ্দিক বিশাল আকারে মার্কেট নির্মান শুরু করেছেন। চারদিকে ইট দিয়ে ওয়াল গাথা শেষ। ছাদ ঢালায়ের জন্য সাটারিং দেওয়া আছে। তার পশ্চিমে মহিলা কলেজের প্রভাষক মাসুদ পারভেজ।
ওহাব হোসেন লালু জানান, মার্কেটের সব জায়গা সরকার একোয়ার করেনি। মার্কেটের বারান্দা ও ঘরের কিছু অংশ একোয়ারের। সরকারের প্রয়োজন হলে ভেঙ্গে দিন। সরকারি অনুমতি ছাড়া কিভাবে মার্কেট নির্মান করতে পারেন কি জানতে চাইলে তিনি জানান সেটা ভূমি প্রশাসন ও সরকার বুঝবে।
মাসুদ জানান, আমার ঘরের কয়েকফিট পড়বে এখন যদি নিতে চায় ভেঙ্গে দিব। আপনি একজন প্রভাষক সরকারি জায়গা কি করে দখল করেন জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি তো কয়েক ফিট অন্যরা সব দখল করেছেন বলে দায় সারেন।
সিদ্দিক জানান, আমার সামান্য ছোট ঘর, আমি আনোয়ারের কাছে থেকে কিনে করছি।  ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার আমানতকে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করা হলে তিনি বলেন আমাকে অভিযোগ দেন ব্যবস্থা নিব। আমি কেন অভিযোগ করব, আপনার বক্তব্য নেওয়ার জন্য ফোন দিয়েছি এমন কথা বলার পর শুর পাল্টিয়ে সার্ভেয়ার বলেন আমি স্যারকে অবহিত করব।
সহকারী কমিশনার ভূমি আবিদা সিফাতের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।