তানোরে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রকে নির্যাতনের অভিযোগ

তানোর প্রতিনিধি:
রাজশাহীর তানোরে শিক্ষক কর্তৃক দশম শ্রেনীর রিফাত নামের এক স্কুল ছাত্রকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার সরনজাই উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইকবাল হোসেনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার সকালে স্কুল মাঠে ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় নির্যাতিত ছাত্রের পিতা শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সরনজাই ইউপির লবনবী গ্রামের শরিফুল ইসলামের ছেলে রিফাত হোসেন সরনজাই উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্র। সে ২০১৯ সালে এসএসসি পরীক্ষার্থী। গত ১৪ মার্চ সকালে স্কুলে ক্লাস চলাকালিন সময় একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্লাসরুমে বাইরে স্কুলের মেন গেটের সামনে সহকারী শিক্ষক ইকবাল খড়ির চলা দিয়ে তাকে নির্মমভাবে শারিরিক নির্যাতন করে। এ সময় নির্যাতিত ছাত্রকে মারের হাত থেকে বাঁচাতে এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি এগিয়ে আসেন। এসময় কোন কিছু না বলে অত্যাচারী শিক্ষক ইকবাল চলে যায়। রিফাতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্ত জমা চিহ্ন হয়ে আছে। রিফাতের কয়েক জন সহপাঠির সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েজন শিক্ষার্থী জানায়, রিফাতের কোন অপরাধ ছিলোনা। স্যার হয়ে এভাবে একজন ছাত্রকে প্রকাশ্যে দিবালোকের সামনে খড়ীর চলা দিয়ে তেড়ে মারবে। বিষয়টি নিয়ে আমরা হতবাক হয়ে পড়েছি। দেখি প্রধান শিক্ষক কি বিচার করে দিচ্ছেন। মনোপত না হলে স্কুলের সকল ছাত্র ক্লাস বর্জন করবো বলে জানান তারা।

এ বিষয়ে রিফাতের পিতা শরিফুল ইসলাম সিল্কসিটি নিউজকে  জানান, একজন স্কুল শিক্ষকের কাছে ছাত্র পিতার মতো। আর সেই শিক্ষক শিক্ষার্থীদের বন্দু না হয়ে নির্যাতনকারী হয়। তাহলে তার কাছ থেকে কি শিখবে ছাত্ররা বলে জানান ।

স্কুলের সহকারী শিক্ষক ইকবাল হোসেন জানান, এটা নিয়ে স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতারা বাড়া বাড়ি করছে। নির্যাতনের বিষয়টি অস্বিকার করেন তিনি।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবদুল হান্নান সংবাদ না করার জন্য অনুরোধ করে জানান, বিষয়টি স্কুল পরিচালনা পরিষদের সদস্যদের নিয়ে মিমাংসা করে দিয়েছি।

স্কুল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আবদুল মালেকের সাথে মুঠোফনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সিল্কসিটি নিউজকে জানান, আমি পরিষদের কাজে রংপুরে অবস্থান করছি। এ বিষয়ে শুনেছি। তবে মিমাংসা হলো কি না তা আমি জানিনা।
স/শ