তানোরে ব্যবসার নামে ডিজিটাল প্রতারণার ফাঁদ

 তানোর প্রতিনিধি: করোনাভাইরাসের সুযোগে রাজধানী ঢাকার নিউ লাইফ চয়েজ নামের একটি কোম্পানি অভিনব কায়দায় রাজশাহীর তানোরে লটারি কার্ডের মাধ্যমে নানা ধরনের নামি দামি হরেক রকমের বিভিন্ন পর্ন্যের কথা বলে কার্ড বিক্রি করছে। ওই কার্ডের মূল্য ১৫০ টাকা। ওই কার্ড গ্রামের সহজ সরল মানুষদের ফাঁদে ফেলে বোকা বানিয়ে দেদারসে ব্যবসা করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সদর এলাকা বাদ রেখে প্রসাশনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কার্ড বিক্রি করে আদায় করছেন হাজার হাজার টাকা।

তানোর পৌর সদরের আমশো গ্রামের আরফান নামের এক ব্যাক্তির নব নির্মিত পাকা বাড়ির মুল রাস্তা সংলগ্ন জিওল মোড়ের দক্ষিনে ভাড়া নিয়ে প্রায় আট থেকে দশ জন লোক ইজি বাইক নিয়ে উপজেলা জুড়ে ব্যবসা করছেন বলেও একাধিক সূ্ত্র নিশ্চিত করেছে ।

স্ক্র্যার্চ কার্ডে লিখা আছে, এক কনে ছোট আকারের বাংলাদেশের মানচিত্র এর ভিতরে ঘঝখ, তাঁর নিচে ইংরেজিতে এড়াঃ. জবম. ৪৫৯৪। উপরে নিউ লাইফ চয়েজ , হেড অফিস সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেট ঢাকা। বিঃদ্রঃ এটা কোন লটারি নয়। পর্ন্যের উপরে দারুন ডিসকাউন্ট অফার ।

স্ক্র্যার্চ কার্ডে বারোটি পণ্যের তালিকা রয়েছে। ১৫০ টাকা মূল্যের ৮০ টি কার্ড কিনলে পাবেন একটি দশ সেফটির ওয়ালটন ফ্রিজ, এছাড়াও রয়েছে সনি এলজির ৩২ ইঞ্চির দেয়াল এল ই ডি টিভি, ২৮ সাইজের মাইক্রো অভেন, ২৪ ইঞ্চি ও ১৭ ইঞ্চির দেয়াল এলইডি টিভি,সেলাই মেশিন+মটর।
সনি এলজির ২১ ইঞ্চির কালার টিভি, ১৯ ইঞ্চির এলইডি টিভি, ল্যাপটপ, ৩৩ সাইজের মাইক্রো ওভেন, ২২ ইঞ্চির এলইডি টিভি ২টি টিভিএস মটর সাইকেল।

নিচের বামে কার্ড স্ক্র্যার্চ  করার পর যদি কোন পণ্য না পান তাহলে ২০০ টাকা নগদ ফেরত পাবে, তাঁর নিচে কার্ডের এমআরপি মুল্য ১৫০ টাকা। কার্ড স্ক্র্যার্চ ঘোষার পর যে পণ্য গ্রাহক পাবেন সেটি নিতে অতিরিক্ত ৬ হাজার ৫০০ টাকা দিতে হবে। কার্ড কেনার আগে বলা হচ্ছে পণ্য নিতে কোন টাকা লাগবেনা। সেখানেও প্রতারণা।

বিভিন্ন দামি দামি জিনিসের লোভ দেখিয়ে গ্রামের সহজ সরল নারী পুরুষের টাকা যাচ্ছে খোয়া। ফলে এমন প্রতারণার ব্যবসা বাতিলের জন্য জরুরী ভাবে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।

নিউ লাইফ চয়েজ কার্ডে সিল মারা মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে, সবুজ নামে একব্যক্তি বলেন আমি তানোর শাখা অফিসের ম্যানেজার। কার্ড ব্যবস্যা প্রশাসনের অনুমতি আছে কি না জানতে চাইলে বলেন, আপনাদের সঙ্গে যোগাযোগ হবে। প্রতিষ্ঠানের মালিক আসবে সব ব্যবস্থা হবে। মালিক আসলে আপনাদের চাহিদা পুরুন করা হবে। মালিকের নাম জানান সাব্বির। এবিষয়ে পত্রিকায় কোন কিছু না করাই ভাল হবে।

তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) রাকিবুল হাসান বলেন, এবিষয়ে আমার জানা নেই।তানোর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, বিষয়টি আমি অবহিত নয়। তবে ওই প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে খোজ খবর নেয়া হবে।

স/আ.মি