তানোরে দু’টি বাল্য বিয়ের দায়ে কাজিসহ আটক ৮

তানোর প্রতিনিধি:
রাজশাহীর তানোর উপজেলায় পৃথক দুটি বাল্য বিয়ের দায়ের ঘটনায় কাজিসহ ৮জনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ও শুক্রবার দুপুরে দুটি বাল্য বিয়ের ঘটনায় পৃথক পৃথক দুটি মামলা দায়ের হয়েছে।

তানোর উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের ধানুড়া চকপ্রভুরাম গ্রামের বাল্য বিয়ে দেবার সময় পুলিশ কাজিসহ ৪ জনকে আটক করেছেন। বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে তানোর কামারগাঁ ইউনিয়নের ধানুড়া চকপ্রভুরাম গ্রামে। এঘটনায় বর আশাদুর জামান (২৩)সহ ৫ জনের নামে থানায় মামলা করা হলে ৪ জনকে আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

আটককৃতরা হলেন, কামারগাঁ মাদারীপুর এলাকার কাজি আশরাফুল ইসলাম (৪০), কাজীর সহযোগী জাহাঙ্গীর আলম (২২) মেয়ের মা মনোয়ারা বিবি (৩২) ও ছেলের মা জাবেদা বেগম (৪৫)।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তানোর উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের ধানুড়া চকপ্রভুরাম গ্রামের মৃত: আবুল কাশেমের ছেলে আশাদুর জামানের (২৩) সাথে মুন্নাপাড়ার আব্দুল মান্নানের মেয়ে পলি আকতার আয়েশার (১৬) বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। আয়েশা আখতার নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। তারা সর্ম্পকে খালাতো ভাই বোন। ছেলে ও মেয়ের মায়েদের ইচ্ছায় তাদের বিয়ের আয়োজন করা হয়। কিন্তু মেয়ের বাবা মান্নানের মতের বিরুদ্ধে এই বিয়েতে আয়োজন করেন। বৃহস্পতিবার রাতে ছেলে বাড়ি চকপ্রভুরাম গ্রামে। রাতে বিয়ের বাড়িতে হৈচৈ শুনতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে কাজিসহ ৪জনকে আটক করেন।

তানোর থানা উপ-পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম বলেন, মেয়েকে নিয়ে গিয়ে ছেলের বাড়িতে রাতে বিয়ের আয়োজন করেন। বিয়ের কাবিল নামা নিয়ে বাধে দুই পক্ষের বাধে দ্বন্দ্ব । এক পর্যায়ে বিয়ের বাড়িতে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। আমরা খবর পেয়ে মেয়ে মা , ছেলে মা, ওই এলাকার কাজিসহ সহযোগিকে আটক করি।

অপর দিকে উপজেলার কলমা ইউনিয়নের আজিজপুর গ্রামের নাজমুল হকের অষ্টম শ্রেণীতে পড়–য়া মেয়ে নাজনীনের সঙ্গে গোকুল গ্রামের আতিকুলের গোপনে বাল্য বিয়ে হয় গত শুক্রবার। এক সপ্তার পর আজ শুক্রবার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার সময় দুপুরে তানোর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা শাওকাত আলীসহ থানা পুলিশ বিয়ের বাড়িতে হাজির হন। এ সময় মেয়ের বাল্য বিয়ের দায়ে নাজনীনের পিতা নাজমুল হক (৩০), মেয়ের দাদা নূর আলম (৫৫) ও মেয়ের ভাই শামীম (২০) ও বরের ভাই রানাকে (২২) আটক করেন। তবে ঘটনা স্থল থেকে বর আতিকুল পালিয়ে যায়।

তানোর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল ইসলাম বলেন, বাল্য বিয়ের অপরাধে তানোর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আমিরুল ইসলাম বাদি হয়ে পৃথক পৃথক দুটি মামলা করেছে। দুই বর পলাতক রয়েছে।
স/শ