তানোরে ছোট ভাইকে বেঁধে রেখে আদিবাসি কিশোরীকে ধর্ষণ, আসামি গ্রেপ্তার হয়নি  


তানোর প্রতিনিধি:  
রাজশাহীর তানোরের  ১০ বছরের ছোট ভাইকে সঙ্গে নিয়ে ক্যাসে ও ঘাস কাটতে মাঠে গিয়েছিলেন ১৬ বছরের এক আদিবাসি কিশোরী। মাঠের মধ্যে একা পেয়ে ছোট ভাইকে গামছা দিয়ে বেধে রেখে বোনকে ধর্ষনকরেছেন দুই যুবক।

এঘটনায় তানোর থানায় ওই কিশোরীর পিতা বাদি হয়ে দুই জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। আসামিরা হলেন সালবাড়ি সল্লাপাড়া আলেক চাঁদের পুত্র জনি (২২) এবং আবুল কালামের পুত্র মোহাম্মদ আলী (২০)।  ঘটনাটি ঘটেছে তানোর উপজেলার কলমা ইউনিয়নের সালবাড়ি সল্লাপাড়া জমির মাঠে। মামলার পর গতকাল সোমবার পর্যন্ত পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুরে উপজেলার কলমা ইউপির সালবাড়ি সল্লাপাড়া আদিবাসিপাড়ার জৈনক ব্যাক্তি ১৬ বছরের কিশোরী মেয়ে এবং ১০ বছরের ছেলে শনিবার দুই ভাই বোন বাড়ি ছেড়ে আধা কিলোমিটার দুরে মাঠে খাড়ির ধারে ক্যাসে ঘাস কাটতে যায়।

এমন সময় সালবাড়ি সল্লাপাড়া গ্রামে আলেক চাঁদের পুত্র জনি (২২) এবং আবুল কালামের পুত্র মোহাম্মদ আলী (২০)।  ফাঁকা মাঠের মধ্যে দুপুরেদিকে  দুই ভাই বোনকে একা  পেয়ে ছোট ভাইকে মোহাম্মদ আলী মুখের মধ্যে গামছা পুরে দিয়ে ও গামছা দিয়ে বেধে রাখে আর  জনি ওই কিশোরীকে জোর করে মুখে  গামছা দিয়ে আটকিয়ে ধর্ষন করে ফেলে রেখে চলে যাই। ওই ছোট ভাইয়ের চিৎকারে  স্থানীয়দের সহযোগিতায় ধর্ষনের শিকার আদিবাসি কিশোরীকে উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জাহাঙ্গীর আলম সরকার বলেন, ১৬ বছরের ওই কিশোরীকে মাঠের মধ্যে একা পেয়ে ছোট ভাইকে ধরে রেখে ধর্ষণ করার ঘটনাটি  প্রাথমিক ভাবে তদন্ত করে সত্যতা পরওয়া গেছে। মেডিকেল রিপোর্ট হাতে পেলে সব পরিস্কার হয়ে যাবে।  আজ (মঙ্গল বার ) বিজ্ঞ আদালতে ২২ ধারার জবানবন্দি গ্রহন করা হবে। আসামিরা পলাতক রয়েছে।

তানোর থানা  অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রহিম বলেন, ধর্ষনের শিকার আদিবাসি কিশোরীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাতপাতালে পরীক্ষার  জন্য পাঠানো হয়েছে। থানায় একটি ধর্ষনের মামলা হয়েছে। আসামি দুইজনকে গ্রেপ্তারে জোর চেষ্ঠা চলছে।