তানোরে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মাদ্রাসার টাকা গরমিলের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীর তানোরে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মাদ্রাসার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। আর সেই টাকা আগামি দেড় মাসের মধ্যে ফেরত দেওয়া হবে বলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জিম্মাদারি নিয়েছেন।

ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে তিন লাখ ৮১ হাজার ৪২২ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠে। তবে সে অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, কোনো হিসেব গরমিল হয়নি। কিছু টাকা তার কাছে আছে। সেগুলো বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

তানোর উপজেলার তালন্দ লালপুর ফুরকানিয়া মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনকালে তিন লাখ ৮১ হাজার ৪২২ টাকার হিসেবে গরমিল দেখায় স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল হাসান। তিনি তালন্দ ইউনিয়নের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আবুল হাসান বলেন, ‘মাদ্রাসায় তার দায়িত্ব নেওয়ার তিন বছর মেয়াদ চলতি বছরের এপ্রিলে শেষ হয়েছে। এখানে আত্মসাতের কোন ঘটনা ঘটেনি। কিছু টাকা নিজের কাছে আছে। সেগুলো বুঝিয়ে দেওয়া হবে বর্তমান কমিটিকে।’

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তালন্দ লালপুর ফুরকানিয়া মাদ্রাসার নিজস্ব ৩৬ বিঘা জমি রয়েছে। এই জমিই মূলত মাদ্রাসার আয়ের উৎস। এছাড়া স্থানীয়ভাবে সাহায্য পেয়ে থাকে মাদ্রাসাটি। সম্প্রতি মাদ্রাসার কিছু উন্নয়নমূলক কাজ করান ইউপি সদস্য আবুল হাসান। মাদ্রাসার জন্য কেনা-কাটাও করেন। এসময় মেম্বার তিন বিঘা ৮ কাঠা জমি স্থানীয় কৃষক বদিসহ তিনজনের কাছে সাড়ে তিন লাখ টাকায় লিজ দেন। আর সেই টাকাও তার কাছে ছিলো।

মেম্বারের দাবি, জমি থেকে আয়কৃত টাকা তিনি মাদ্রাসার উন্নয়নের কাজে লাগিয়েছেন। মাদ্রাসার বিভিন্ন অনিয়ম উঠে আসায় স্থানীয়ভাবে ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটি পর্যবেক্ষণ করে অনিয়মের অভিযোগ পায়। এনিয়ে বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) স্থানীয়ভাবে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মেম্বার আবুল হাসানের কাছে হিসেব চাওয়া হলে তিন লাখ ৮১ হাজার ৪২২ টাকার হিসেবে দিতে পারেননি তিনি।

এ বিষয়ে তালন্দ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বলেন, তিন বছরে মাদ্রাসার আয় হয়েছে প্রায় ২১ লাখ টাকা। মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা মেম্বার আবুল হাসানের থেকে তিন লাখ ৮১ হাজার ৪২২ টাকা পাওয়া যাবে।

তিনি বলেন, ‘আমি (চেয়ারম্যান আবুল কাশেম) দায়িত্ব নিয়েছি, আগামি দেড় মাসের মধ্যে ওই টাকা ফেরত দেওয়া হবে।’

স/শা