“তাজউদ্দীনের জীবন-কর্ম তরুণ প্রজন্মকে পথ দেখাবে”

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদ’র ৯৪তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে।

এ উপলক্ষ্যে রাজশাহীতে আলোচনা সভা করেছে স্বাধীনতার স্বপক্ষের অরাজনৈকি সামাজিক সংগঠন বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ চাই। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজশাহী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ চাই’র আহ্বায়ক আসলাম-উদ-দৌলার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কলামিস্ট মুক্তিযোদ্ধা প্রশান্ত কুমার সাহা এবং প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন- জননেতা আতাউর রহমান-ভাষাসৈনিক মনোয়ারা রহমান-জননেতা মাদার বখশ্ পরিবারের সদস্য রাজশাহী প্রেসক্লাব সভাপতি সাইদুর রহমান।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন- বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ চাই’র সদস্য সাবেক ছাত্রনেতা ইয়াসির আরাফাত সৈকত।

আলোচনা রাখেন- সেক্টর কমান্ডার ফোরাম মহানগর শাখার সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান আলী বরজাহান, রাজশাহী প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি আবু সালে ফাত্তাহ, জাতীয় পার্টি মহানগর শাখার সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন মিন্টু, রাজশাহী প্রেসক্লাবের যুগ্ম-সম্পাদক নূরে ইসলাম মিলন, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ চাই’র সদস্য কাজী রাকিবউদ্দিন, ডা. রোকনুজ্জামান রিপন, মাহফুজ আল আমিন, সৈয়দ রাগীব হাসান রাফেল, মামুন-অর-রশিদ প্রমুখ।

এ বক্তারা বলেন, বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদ, যিনি ৯ মাসের প্রধান নেতা। বাংলাদেশের সেকেন্ড ইন কমান্ড। সে মানুষটার জন্মদিন পালন হচ্ছে না। তার দলও কোন কর্মসূচি রাখে নি। সমস্যা টা কোথায়? মানুষকে মূল্যায়ন করলে কেউ ছোট হয় না। ইতিহাস, অতীত সেই শিক্ষা আমাদেরকে দিয়ে এসেছে। অথচ এই পরিবারটিকেই দূর্দিনে জাতির প্রয়োজনে বার বার এগিয়ে আসতে হয়েছে। আমরা অতি তাড়াতাড়ি অতীত ভুলে যায়। এটা ভালো শিক্ষা না। দেশের চালিকা শক্তি সেদেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি। আর এই অর্থ মন্ত্রাণালয়ে একমাত্র রাজনীতিবিদ মন্ত্রী ছিলেন বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদ। এরপর আর কোন রাজনীতিবিদকে অর্থমন্ত্রী হতে দেখে নি। বিশ্বব্যাংকের সুপারিশে অর্থমন্ত্রী হয়ে আসে। ফলে যা হওয়ার তাই সমাজে ঘটছে। আজকে যে দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা- তার মূলেই রয়েছে স্বার্থান্ধ আমলাতন্ত্র।

আজকে গুজবে সমাজ মেতে উঠছে। গুজব কখন ছড়ায়? যখন মানুষ সামাজিক নিরাপত্তা, বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা হারায়। সমাজে অব্যবস্থাপনা দেখা দেয়। এই অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতির হাত থেকে সমাজকে বাঁচাতে তাজউদ্দীনের জীবন ও কর্ম তরুণ প্রজন্মকে পথ দেখাবে।

স/অ