তরুণ ক্রিকেটারদের মানসিক শক্তি কম দেখেন মাশরাফি

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

বাংলাদেশের বেশির ভাগ তরুণ ক্রিকেটারই প্রতিভাবান। কিন্তু প্রতিভা অনুযায়ী যে পারফরম্যান্স তাদের করা উচিত, সেটি পাওয়া যায় না তাদের কাছ থেকে। লিটন দাস কিংবা সাব্বির রহমানরা নিজেদের দিনে যেভাবে খেলেন, সেটি বেশির ভাগ দিন করলে তারা ক্রিকেট দুনিয়ার বড় তারকায় পরিণত হতেন। কিন্তু সেটি হয় কালে ভাদ্রে। পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা না থাকাটা বাংলাদেশের অপেক্ষাকৃত তরুণ ক্রিকেটারদের একটা বড় সমস্যা। মাশরাফি বিন মুর্তজা এর মূল কারণ হিসেবে মানেন মানসিক শক্তির অভাবকে।

নিজের ১৮ বছরের ক্যারিয়ার। অভিজ্ঞতা দেদার। সে অভিজ্ঞতা থেকেই এটা বোঝেন তিনি—মানসিক দৃঢ়তা বা মানসিক শক্তির অভাব একটা বিরাট সমস্যা, ‘বিদেশি ক্রিকেটারদের সঙ্গে আমাদের তরুণ ক্রিকেটারদের মূল পার্থক্য মানসিক শক্তিতে। বিদেশিরা যেটা করে, যা প্রয়োগ করে, সেটা পরিষ্কার চিন্তা থেকে করে। আমরা করি দ্বিধাদ্বন্দ্ব নিয়ে। এবি ডি ভিলিয়ার্সের সঙ্গে এ বিষয়টা নিয়ে আমার কথা হয়েছে। সেও বলেছে। মানসিক দিকটাতে উন্নতি ঘটাতে পারলে এই তরুণেরাই বিশ্বমানের ক্রিকেটারে পরিণত হবে।’

বিপিএলেও তরুণদের পারফরম্যান্স ভালো নয়। এ নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের অনেক আক্ষেপ। অনেকেই মনে করেন, এই ক্রিকেটাররা যদি বিপিএলে ভালো করতে না পারেন, তাহলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য কীভাবে নিজেদের তৈরি করবেন। বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়কের অবশ্য এটা নিয়ে একটা ব্যাখ্যা আছে, ‘বিপিএল কিন্তু এখন আর ছোট কোনো টুর্নামেন্ট নয়। আগের পর্যায়ে নেই এটি। আমি নিজেও এটি খেলতে চাপ অনুভব করি। সিনিয়র যারা আছে, তারা সবাই চাপ অনুভব করে। আমি নিশ্চিত সাকিবও চাপ অনুভব করে। এখানে তরুণদের জন্য চাপটা আরও অনেক বেশি।’

বিপিএলে আসছে নিউজিল্যান্ড সফরে ডাক পাওয়া বেশি কয়েকজন ক্রিকেটারই ভালো করতে পারেননি। সৌম্য সরকার আর মুমিনুল হক এদের মধ্যে সবচেয়ে বড় উদাহরণ। মাশরাফি অবশ্য এদের নিয়ে আশাবাদী। তিনি মনে করেন নিউজিল্যান্ডে গিয়েই এরা ফর্মে ফিরবে, ‘আমাদের দলে যারা আছে, তারা বিপিএলে ভালো করেনি বলে যে জাতীয় দলে পারফরম করবে না, এটা আমি বিশ্বাস করি না। তাদের নিয়ে আমার আত্মবিশ্বাস আছে। আমার বিশ্বাস নিউজিল্যান্ড সফরের প্রথম ম্যাচ থেকেই তারা ঘুরে দাঁড়াবে।’

ক্যারিয়ারের ১৮ বছর পার করে দেওয়ার পরেও বোলিংয়ের শক্তিটা কীভাবে পান মাশরাফি? উত্তরটা ওয়ানডে অধিনায়ক দিলেন তাঁর মতো করেই, ‘বেশির ভাগ সময়ই আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিই। যা হওয়ার হবে। টার্গেট থাকে জায়গা মতো বল ফেলার। একজন বোলারের জন্য এটিই গুরুত্বপূর্ণ। ধারাবাহিকভাবে এক জায়গা বল ফেলে যাওয়া। বাকিটা কিন্তু আপনার হাতে নেই। অনুশীলনে ওভাবেই করি বলগুলি এক জায়গায় পড়ছে কিনা সেটা অনুশীলন করি।’