ঢাবির ১০০ শিক্ষার্থীর তথ্য চেয়েছে সিআইডি

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস, ডিজিটাল জালিয়াতি করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সহায়তা করার অভিযোগ রয়েছে এমন ১০০ শিক্ষার্থীর তথ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে চেয়েছে পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত শাখা (সিআইডি)।

মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার এনামউজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘গত রোববার আমাদের কাছে একটি চিঠি এসেছে। সেখানে সিআইডি ভর্তি জালিয়াতি সংক্রান্ত ঘটনায় জড়িত কিছু শিক্ষার্থীর বিস্তারিত তথ্য চেয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা সেটি সোমবার প্রক্টর অফিসে পাঠিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সুমন কুমার দাশের সাক্ষর করা ওই চিঠিতে বলা হয়, শাহবাগ থানায় ২০১৭ সালের ২০ অক্টোবর হওয়া ২৬ নম্বর মামলার সূত্রে এজহারনামীয় এবং তদন্তে প্রাপ্ত গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের প্রদত্ত ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি এবং গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তদন্তের স্বার্থে সংযুক্তি তালিকা-১ এ উল্লিখিত শিক্ষার্থীদের তথ্য পাওয়া একান্ত প্রয়োজন। ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্ন ফাঁস ও ডিজিটাল জালিয়াতির অভিযোগ ওঠার পর সিআইডি বাদী হয়ে মামলাটি করে।

সিআইডির চাওয়া তথ্যের মধ্যে রয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর পূর্ণাঙ্গ নাম, ঠিকানা, শিক্ষাবর্ষ, ইউনিট, বিষয়, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল, সেমিস্টার ভিত্তিক পরীক্ষার ফলাফল এবং পুনঃভর্তির বিস্তারিত।

তালিকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব বিভাগের শিক্ষার্থীদের তথ্য চাওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে-

শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ১৩ জন, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের নয়জন, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের আটজন, অর্থনীতি বিভাগের পাঁচজন, মনোবিজ্ঞান বিভাগের পাঁচজন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চারজন, আইন বিভাগের চারজন, ইসলাম শিক্ষা বিভাগের চারজন, পদার্থবিদ্যা বিভাগের তিনজন, ফার্মেসি বিভাগের তিনজন, বাংলা বিভাগের তিনজন, বিশ্ব ধর্মত্বত্ত এবং সংস্কৃতি বিভাগের তিনজন, ফলিত রসায়ন বিভাগের দুইজন, ইতিহাস বিভাগের দুইজন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের দুইজন, ইলেট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ইলেট্রনিক্স বিভাগের দুইজন, ফিন্যান্স বিভাগের দুইজন, মার্কেটিং বিভাগের দুইজন, টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্র বিভাগের দুইজন, স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের দুইজন, ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের দুইজন এবং সংস্কৃতি বিভাগের দুইজন শিক্ষার্থী রয়েছেন।