রবিবার , ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ ও দুর্নীতি
  3. অর্থ ও বাণিজ্য
  4. আইন আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. চাকরীর খবর
  9. ছবিঘর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. ধর্ম
  14. নারী
  15. নির্বাচিত খবর

ঢং ঢং শব্দে ব্যস্ত কামার বাড়ি

Paris
সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৬ ২:৩৭ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বেলা সাড়ে ৯টা। হাতুরী আর লোহার ঢং ঢং শব্দ মুখরিত কামার দোকান। শব্দ শোনা যাচ্ছে দূর থেকে। ঈদ আসলে প্রতিবছরের মতো রাতদিন সমান তালে ব্যস্ত থাকেন। কথা বলার কোন সময় নেই। শুধু কাজ আর কাজ।
কোরবানির পশু জবাই করতে যেন কষ্ট না হয়, তার জন্য ছোরা ও দাসহ প্রয়োজনীয়ে সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যস্ত। এ ব্যস্ত সময়ে তাদের সাথে কথা শুধু হয় কয়টা কি আছে ? বাড়তি কোন কথা বলার সময় টুকু নেই। কামাররা নিজেই কাজ করছেন। ঈদের বাড়তি কাজ করার জন্য অতিরিক্ত লোকও নিয়ে কাজ করছেন।
কথাগুলো নগরীর উপকণ্ঠ কাটাখালীর সমসাদিপুরের কামার পাড়া এলাকার কামারদের সাথে। দীর্ঘদিন থেকে এই এলাকায় কামারদের কাজের সমাগম থাকায় রীতিমতো এই এলাকা কামার পাড়া নাকে পরিচিত হয়েছে।
কাটাখালীর সমসাদিপুর এলাকায় প্রায় ১০ থেকে ১৫ টি পরিবার দীর্ঘদিন থেকে এই পেশার সঙ্গে জড়িত। তাদের জীবন-জীবীকা চলে এই পেশার উপার্জনের টাকা থেকে। বছরের প্রতিদিনই এই এলাকায় কামারদের কাজ হয়। তারপরেও ঈদকে আসলে তাদের দিনরাত মিলে আরো ব্যস্ত সময় পার করতে হয়।
যেন শ্বাস নেওয়ার সময় টুকু নেই। কাঁচা লোহা ও ইস্পাত এ দুয়ে মিলে বিভিন্ন ধরেনের ছুরি, চাকু, দা, চাপ্লল ও হাঁসুয়া ইত্যাদি তৈরি করছেন। ঈদের মাত্র কয়েকটা দিন থাকায় শেষ সময়ের প্রস্ততি হিসেবে কাজ করছেন। কাজের চাপে অনেককে ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানান তারা।
নগরীর ডাশমারি এলাকার নজরুল ইসলাম বলেন, কোরবানি আসলে ছুরি, চাকু, দা, হাঁসুয়াসহ বিভিন্ন জিনিসের চাহিদা বারে। এরমধ্যে কোরবারিনর গোশত কাটার জন্য একটা চাপাতি কিনেছি। এক টা ছোট ছুরি ও একটা হাসুয়া কিনেছি। আর বাড়িতে থাকা পুরানো দুইটা ছুরি পুড়িয়ে নিলাম। তবে ঈদ মৌসুমে তারা প্রতিটির ক্ষেত্রে ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি নিচেছন।
কামার শ্যামল কুমার বলেন, আমার এখানে আগে থেকেই কামারের ভালো কাজ হয়। তবে অন্য দিনে চেয়ে ঈদের মৌসুমে অনেক চাপ থাকে। বিশেষ করে ঈদের কদিন আগে চাপ বেশি হয়। এখানে কোরবানিতে ব্যবহার করার মতো সব কিছুই রয়েছে। কেউ কেউ নতুন করে চাপাতি বা ছুড়ি কিনছেন। তবে অনেকেই বাড়িতে থাকা পুরোনো গুলোই নতুন করে শান দিয়ে নিচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, এখানে সব ধরেনের কোরবানির জিসিনপত্র পাওয়া যায়। বেশির ভাগ জিনিসই ওজন করে বিক্রি করা হয়। তবে ছোটগুলো কম দামে। এছাড়া কোরবানির আরো একটি প্রয়োজনীয় জিনিস গোশত কাটানোর কাঠের গুড়ি।
গতকাল শনিবার দুপুরে নগরীর শালবাগানসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করা হচ্ছে এই কাঠের গুড়ি। বিক্রেতারা বলছেন, বিভিন্ন দামে কাঠের গুড়ি বিক্রি করা হচ্ছে। কাঠের গুড়িগুলো ১’শ থেকে শুরু করে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। তবে ছোট ও মাঝারি ধরনের কাঠের গুড়িগুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া সাধারণ ক্রেতাদের জন্য ১ হাজার টাকার দামেরও কাঠের গুড়ির ব্যবস্থা আছে।
স/আ

সর্বশেষ - রাজশাহীর খবর