ড. ইউনূসের ৫ মামলা আপিল বিভাগেও স্থগিত

নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সের চাকরিচ্যুত কর্মচারীদের করা পাঁচ মামলায় হাইকোর্টের দেয়া স্থগিতাদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাসগুপ্ত।

রাষ্ট্রপক্ষের করা পৃথক পাঁচটি আবেদন নিষ্পত্তি করে সোমবার (৫ অক্টোবর) জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে এদিন ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাসগুপ্ত।

গত ৩ জুলাই ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ তিনজনের বিরুদ্ধে এসব মামলা করা হয়। ড. ইউনূসের প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সের চাকরিচ্যুত তিন কর্মচারী মামলাগুলো করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজনীন সুলতানা ও উপ-মহাব্যবস্থাপক খন্দকার আবু আবেদীন।

মামলার বাদীরা হলেন- প্রস্তাবিত গ্রামীণ কমিউনিকেশন্স শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, প্রচার সম্পাদক শাহ আলম ও সদস্য এমরানুল হক।

অভিযোগে বলা হয়, শ্রমিক হিসেবে নিজেদের সংঘটিত হওয়া এবং নিজেদের কল্যাণের জন্য ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন তারা। ২০১৯ সালের ১৬ এপ্রিল ট্রেড ইউনিয়নটি রেজিস্ট্রেশনের জন্য মহাপরিচালক ও রেজিস্ট্রার অব ট্রেড ইউনিয়নে আবেদন করলে ৯ জুন তা প্রত্যাখ্যাত হয়। পরে ইউনিয়ন গঠনের খবর জানার পর তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়।

ইউনিয়ন গঠনের কারণে চাকরিচ্যুত করায় শ্রম আইন ২০০৬ এর ১৯৫ (ঘ) ধারা লঙ্ঘন হয়েছে। তাই বাদীরা শ্রমিক হিসেবে বাংলাদেশ শ্রম আইন ৩১৩ ধারায় তাদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য এবং ইউনিয়ন গঠন ও তার কার্যকলাপ পরিচালনার জন্য মামলাগুলো করেন।

এসব মামলায় জামিন নেয়ার পর মামলা বাতিলে হাইকোর্টে আবেদন করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গত ৪ মার্চ হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করেন। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করেন। যেটি সোমবার নিষ্পত্তি করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

 

সূত্রঃ জাগো নিউজ