ড. ইউনূসের মামলায় একসঙ্গে লড়তে চাই : সৈয়দ হায়দার আলী

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক :

নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে  শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় কলকারখানা প্রতিষ্ঠান ও পরিদর্শন অধিদপ্তর নতুন করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সৈয়দ হায়দার আলীকে আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিষ্ঠানটির আরেক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। খুরশীদ আলম স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মামলায় কলকারখানা অধিদপ্তর দুইজন রাখলে তিনি এ মামলায় ‍শুনানিতে অংশ নেবেন না।

তবে ভিন্ন সুর অ্যাডভোকেট সৈয়দ হায়দার আলীর মুখে। তিনি বলেন, আমি আমরাতে বিশ্বাসী, আমিত্বে নই। কারণ দু’জন একসঙ্গে মামলাটি পরিচালনা করলে শক্তি বাড়বে। কমবে না। ড. ইউনূসের শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান ও আমি একসঙ্গে আইনি লড়াই করতে চাই।

গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সিনিয়র প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলীকে কলকারখানা প্রতিষ্ঠান ও পরিদর্শন অধিদপ্তর আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। সৈয়দ হায়দার আলী বলেন, গত সপ্তাহে আমি নিয়োগ পেয়েছি।

নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলাটি শ্রম আদালতে বর্তমানে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত  অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরসেদ উপস্থিত ছিলেন। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান উপস্থিত ছিলেন।

গত ৬ জুন নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এই মামলায় ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়। অন্য তিনজন হলেন এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে মামলায় বিবাদী করা হয়।

২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চার জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। পরে ওই মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। একই বছরের ১২ ডিসেম্বর হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল দিয়েছিলেন। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে।