শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা

ড. ইউনূসের পক্ষে অসমাপ্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপন ৬ ডিসেম্বর

সিল্কসিটি নিউজ ডেস্ক:

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগের মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে তৃতীয় দিনের মতো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন অব্যাহত রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানার আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন।

তবে অসমাপ্ত অবস্থায় ৬ ডিসেম্বর পরবর্তী সময়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য করা হয়েছে। দুপুর আড়াইটা থেকে ৫টা পর্যন্ত ড. ইউনূসের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় নির্ধারণ করা হয়।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস ষষ্ঠ বারের মতো শ্রম আদালতে হাজির হন বৃহস্পতিবার। তার বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগের মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের শুনানিতে অংশ নিতে দুপুর ২টার দিকে আদালতে হাজির হন তিনি। এরপর বিকেল ৫টা পর্যন্ত আদালতের কার্যক্রম চলে। আদালতের কার্যক্রম শেষ হলে ড. ইউনূস আইনজীবীদের সঙ্গে বেরিয়ে যান।

আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট এসএম মিজানুর রহমান।

অপরদিকে, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান ও প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী।

এর আগে ১৬ নভেম্বর ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানার আদালতে বাদীপক্ষে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। এরপর ২০ নভেম্বর ড. ইউনূসের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়।

 

৬ নভেম্বর এ মামলার বাদীপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। ওইদিন আদালত ৯ নভেম্বর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ এ মামলার চারজন আসামির ফৌজদারী কার্যবিধি ৩৪২ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য রাখার দিন রাখেন।

২ নভেম্বর এ মামলায় চতুর্থ সাক্ষী মো. মিজানুর রহমান আদালতে জবানবন্দি দেন। এরপর ৬ নভেম্বর তাকে আসামিপক্ষ জেরা করেন। এর আগে ২৬ অক্টোবর তৃতীয় এবং ১৮ অক্টোবর এ মামলার দ্বিতীয় সাক্ষী হাদিউজ্জামানের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। ১১ অক্টোবর মামলার বাদি শ্রম পরিদর্শক তরিকুল ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।

২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদি হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে ওই মামলা করেন। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

এ মামলায় ড. ইউনূস ছাড়াও গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে বিবাদি করা হয়েছে।