ডেঙ্গু আতঙ্কে রাজশাহী কলেজ হোস্টেলে শিক্ষার্থীদের পরিচ্ছন্নতা অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সম্প্রতি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। আর বেড়েই চলেছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এতে আতঙ্কে দিন পার করছেন রাজশাহী কলেজ হোস্টেল শিক্ষার্থীরা। ডেঙ্গু মোকাবেলায় হোস্টেল অভ্যন্তরের ড্রেনসহ অপ্রয়োজনীয় আগাছা পরিষ্কার করতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের।

সোমবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে বীর শ্রেষ্ঠ রুহুল আমীন ভবনের (সি ব্লক) পেছনে সি কোয়াটার থেকে এ অভিযান পরিচালনা করে তারা।

সরোজমিনে দেখা যায়, হোস্টেলে ঘাস জন্মেছে। সি ব্লক ভবনের সামনে ময়লা আর্বজনার স্তুপও দেখা যায়। তার পেছনে ড্রেনেও ময়লা জমেছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান কালে এই প্রতিবেদকের সামনে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা করার কথা হোস্টেল কর্তৃপক্ষের থাকলেও তারা এ কাজে হাত দেয় না বলে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ।

নাম প্রকাশ না করে এক শিক্ষার্থী জানায়, ডেঙ্গু মোকাবেলার জন্য আমরা আজকে এই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় নেমেছি। হোস্টেলের প্রায় সব ব্লকের সামনে ময়লা আর্বজনার স্তুপ ও অপ্রয়োজনীয় আগাছা জন্মেছে। হোস্টল কর্তৃপক্ষ এ পদক্ষেপ না নেয়ায় আমরা এ পদক্ষেপ নিয়েছি।

পরিষ্কার পরিচ্ছন্নকর্মী নিয়মিত আসে কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঐ শিক্ষার্থী জানায়, হোস্টেলে দুই একজন পরিচ্ছন্ন কর্মীকে দেখা য়ায়। তবে বছর-ছয় মাস পর আসে পরিষ্কার করতে।

আরেক শিক্ষার্থীর অভিযোগ, মশার উৎপাতে হোস্টেলে দিনের বেলায় মশারি টাঙিয়ে ঘুমাতে হয়। সন্ধ্যা হলেই যেন মনে হয় মশার দখলে কলেজ হোস্টেল। এতে লেখা-পড়াতেও মনযোগে বাাঁধা হয়। চারিদিক অপ্রয়োজনীয় জঙ্গলে ছেয়ে গেছে। পরিষ্কারের দিকে নজর নেই হোস্টেল কর্তৃপক্ষের বলে অভিযোগ ঐ শিক্ষার্থীর।

হোস্টেল কার্যালয়ের দেওয়া তথ্য মতে, সাতটি ব্লক ও কোয়াটার ইয়ার আলী ও রাজু নামের এই দুই জন পরিচ্ছন্ন কর্মী দিয়েই চলে। এছাড়া আরো কয়েকজন অলিখিতভাবে রয়েছেন।

হোস্টেল পরিচ্ছন্নকর্মী ইয়ার আলী ও রাজু জানায়, আমরাতো নিয়মিত কাজ করি। এ ছাড়া তারা দুই জনে দিন-রদ বদল করে কাজ করেন।

এ দিকে বেতনের ব্যাপারে জানান, আমাদের বেতন যা পাই তাও সীমিত।

এ ব্যাপরে রাজশাহী কলেজ মুসলিম হোস্টেলের প্রধান তত্বাবধায়ক হুমায়ুন রেজা জানান, আমরা বেশ কিছু জায়গায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালিয়েছি। পরে একটা কমিটি গঠন করে আমরা এ অভিযান অব্যাহত রাখবো।

এ সময় জনবল সংকটসহ বেশ কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরে তত্ববধায়ক জানান, হোস্টেল পরিচ্ছন্ন কর্মীদের বেতনও দেওয়া হয় সীমিত। এ ছাড়া ভবন গুলোও অনেক পুরাতন সংস্কার করতে গেলে ভেঙে যায়। আমরা এ বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ স্যারকে অবগত করেছি।

স/অ