ডেঙ্গুকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি: তাজুল ইসলাম

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে সপ্তাহব্যাপী সারা দেশে মশকনিধন এবং মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, আমরা ডেঙ্গুকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। আমাদের এচ্যালেঞ্জকে স্বাগত জানিয়ে সাংবাদিক, খেলোয়াড়, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও নানা পেশার মানুষ একত্রিত হয়েছেন। আমি আশা করি, সপ্তাহব্যাপী মশক নিধন কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে এডিস মশার বংশবিস্তার ধ্বংস করতে পারবো।

অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা নিজেরা যত যাই করি না কেন, নিজেদের আগে সচেতন হতে হবে। ডেঙ্গু প্রতিরোধের প্রধান হাতিয়ারই হচ্ছে সচেতনতা। আমরা যদি আমাদের আশপাশের জায়গা এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র করে রাখি, তাহলে কোনো পদক্ষেপই কাজে আসবেনা। তাই সবাইকে নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, এডিস মশার প্রজননস্থল যেন তৈরি হতে না পারে, সে লক্ষ্যে আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে এখন অভিযান চালাচ্ছি। বিশ্বস্বাস্থ্যসংস্থা, স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সব বিভাগ ও সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছি এ সমস্যা সমাধানে। অনুষ্ঠান শেষে ডেঙ্গু সচেতনতা ও চিকুনগুনিয়া রোধে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে এক র্যালির আয়োজন করা হয়। অ্যাভিনিউ ঘুরে সংসদ ভবনের সামনে গিয়ে র্যালিটি শেষ হয়।

ইতিমধ্যে দেশের ডেঙ্গুর পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে একে উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এমন পরিস্থিতে ডেঙ্গু দমনে পরিস্থিতি সামাল দিতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। বিদেশ থেকে জিনোটাইপ মশার ডিম আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে অধিদফতর। এই ডিম থেকে জন্ম নেয়া জিনোটাইপ মশা এডিসের প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস করবে। এতে স্বাভাবিক কারণেই ডেঙ্গুর বিস্তার কমে আসবে।

স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছ, গত ২৩ দিনে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫ হাজার ৬৩৭ জন। সরকারি হিসেবে এ পর্যন্ত মৃত্যু ঘটেছে ৫ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে ৪৭৩ জন। তবে বেসরকারি হিসেবে এ রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা লাখ ছাড়িয়ে গেছে বলে মন্তব্য সংশ্লিষ্টদের।