ডেকে নিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

সাতক্ষীরার দেবহাটায় পূর্ণিমা দাস (১৫) নামে দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ওই কিশোরী কুলিয়া ইউনিয়নের টিকেট গ্রামের শান্তি দাসের মেয়ে এবং গাভা একেএম আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে রাতভর নিখোঁজ ছিল পূর্ণিমা। পরে আজ শুক্রবার সকালে তারেক মন্ডল নামে এক ব্যক্তির পরিত্যক্ত বাড়ির সবজি বাগানে তার বিবস্ত্র লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। এরপর তারা ভিকটিমের পরিবার ও থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পূর্ণিমা দাসের লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ।

উদ্ধারকালে লাশটির মুখমন্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে দাঁতের কামড়ের ক্ষত ও গলায় শ্বাসরোধের চিহ্ন দেখা যায়। এছাড়া স্থানীয়রা লাশ থেকে কিছুটা দূরে পড়ে থাকা একটি মোবাইল ফোনও উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। যাতে সর্বশেষ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কেউ ভিকটিমকে ওই পরিত্যক্ত বাড়ির পাশে ডেকে এসএমএস করেছিল।

ভিকটিমের বাবা শান্তি দাস জানান, পার্শ্ববর্তী এলাকার শিবু মন্ডলের ছেলে পার্থ মন্ডল দীর্ঘদিন ধরে তার মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। বখাটে পার্থ মন্ডলই তার মেয়েকে দেখা করার কথা বলে মোবাইলের মাধ্যমে বাড়ি থেকে ডেকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে বলে তাদের ধারণা। পূর্ণিমা দাসকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় বখাটে পার্থ মন্ডলের সাথে আরও একাধিক সহযোগী জড়িত থাকতে পারে বলেও সন্দেহ নিহতের পরিবারের।

এ ব্যাপারে দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ আহমেদ বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তে জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। দ্রুততার সাথে জঘন্যতম এ অপরাধের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে বলেও জানান তিনি।

সূত্র: আমাদের সময়