শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যায় ময়নাতদন্তের জন্য দাফনের এক মাস ছয়দিন পর কবর থেকে এনামুল হক সবুজ (৩৪) নামের এক যুবকের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। শনিবার (৫ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুর্তজা আল মুঈদের উপস্থিতিতে উপজেলার কনেশ্বর ইউনিয়নের ছাতিয়ানীর হাজী শরীয়তুল্লাহ কারিমীয়া মাদরাসা ও এতিমখানা কবরস্থান থেকে তার লাশ উত্তোলন করা হয়।
মো. এনামুল হক সবুজে এই গ্রামের মৃত নওয়াব আলী সরদারের ছেলে। তিনি হাইম্যাক্স ইউনানী ল্যাবরেটরিজ লি. এর মালিক। গত ০২ আগস্ট মারা যান তিনি।
মামলার সূত্রে জানা যায়, এনামুল হক সবুজের বড় বোন তাছলিমা বেগম গত ১৪ আগস্ট শরীয়তপুর কোর্ট সাতজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেখানে বলা হয়, তার ভাইকে তার স্ত্রী শামীমা বেগম ও তারা পরিবার পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন। এ ছাড়াও সবুজের ওপর বিভিন্ন সময় অত্যাচার করতেন তারা।
এনামুল হক সবুজের বড় বোন তাছলিমা বেগম (৪০) বলেন, ‘আমার ভাই অনেক ভালো মানুষ ছিল। দ্বিতীয় বিয়ের কারণে আমার ভাইকে বিভিন্ন সময় তার বড় বউ শামিমা বেগম মানুসিকভাবে অত্যাচার করত। যা আমি আর আমার মা বহুবার মীমাংসা করেছি। গত কোরবানি ঈদের সময় আমার ভাই দেশে আসেন ঈদ ও কোরবানি দেওয়ার জন্য। ঈদের পরদিন সকালে হঠাৎ জানতে পারি সবুজ মারা গেছে। সারা দিন আমাদের ওর কাছে যেতে দেয়নি। গোসলের পর জানাজার আগে আমাদের ওখানে এনেছিল। তখন ওর গায়ে আঘাতের চিহ্ন দেখি। তখন আমরা ময়নাতদন্তের জন্য বলে। কিন্তু ওদের চাপে তা করতে পরিনি। আজ আদালতের নির্দেশে লাশটি উত্তোলন করা হলো।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুর্তজা আল মুঈদ বলেন, আদালতের নির্দেশে আমি উপস্থিত থেকে সিআরপিসি ১৭৬ ধারায় কবর থেকে লাশ উত্তোলন করি। এখন ময়নাতদন্তে রিপোর্টের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হচ্ছে।
সূত্রঃ কালের কণ্ঠ