ডাবল সেঞ্চুরি হলো না মিঠুনের

দুজনের কারোরই ভালো সময় যায়নি সর্বশেষ জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল)। এক ম্যাচে বল হাতে ৭ উইকেট নিয়ে আলোচনায় এলেও নিজের আসল কাজ ব্যাটিংয়ে ভীষণ নিষ্প্রভ ছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন। ছয় ম্যাচ খেলে ফিফটি ছিল না একটিও। আট ইনিংসে কোনো ফিফটির মুখ না দেখা মিজানুর রহমানও এবার মিঠুনের সঙ্গে বিশাল সেঞ্চুরি দিয়েই রানে ফিরলেন। ঘটনাচক্রে ওপেনার বনে যাওয়া মিঠুনের সঙ্গে জুটি বেঁধে গড়লেন ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩২৭ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপও। সুবাদে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে নবম বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) রান পাহাড়ও গড়েছে ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল। বিসিবি উত্তরাঞ্চলের ২১৯ রানের জবাবে তারা প্রথম রাউন্ডের ম্যাচের দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে ২ উইকেটে ৪৩০ রান। রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে ওপেনার এনামুল হক ও জাকির হাসানের ব্যাটে ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চলের (প্রথম ইনিংস ২৬০) বিপক্ষে লিড নিয়েছে বিসিবি দক্ষিণাঞ্চলও।

কভিড জটিলতায় আব্দুল মজিদ মাঠে নামতে না পারায় আগের দিন ওপেনার হয়ে যেতে হয় মিঠুনকে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে প্রথমবার ওপেন করতে নামাটা স্মরণীয়ও করে রাখলেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। বিনা উইকেটে ৬১ রান নিয়ে দিন শুরুর পর থেকে প্রতিপক্ষের বোলারদের শুধু হতাশই করে গেছে মিঠুন-মিজানুর জুটি। মিঠুন ১৪৫ বলে পৌঁছান প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের ত্রয়োদশ সেঞ্চুরিতে। ৪৩ রান নিয়ে নেমে ২৫৭ বলে মিঠুন খেলেন ১৭৬ রানের ইনিংস। যাতে ২১টি চারের সঙ্গে আছে দুটি ছক্কার মারও।

আর ১৮ রান নিয়ে দিন শুরু করা মিজানুর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের দ্বাদশ সেঞ্চুরি করেন ১৬৩ বলে। আউট হওয়ার আগে ২৪৩ বলে ২১ চার ও তিন ছক্কায় করেন ১৬২ রান। তাঁদের বিদায়ের পর সৌম্য সরকার (৩৯*) ও সালমান হোসেন (৪০*) মধ্যাঞ্চলকে এগিয়ে নিয়েছেন আরো। উত্তরাঞ্চলের চেয়ে এখন ২১১ রানে এগিয়ে তাঁরা।

অন্য ম্যাচে এনামুল ৮৮ রান করে আউট হয়ে গেলেও সেঞ্চুরির অপেক্ষায় আছেন দক্ষিণাঞ্চলের জাকির। একসময় ২২৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে লিড পাওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হলেও ৯১ রানের হার না মানা ইনিংসে এই মিডল অর্ডার ব্যাটারই পথ দেখিয়েছেন দলকে।