ঠিক বিশ্বকাপ জয়ের মতো অনুভূতি: স্টোকস

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

অ্যাশেজ সিরিজের তৃতীয় টেস্ট হাতের মুঠো থেকে ফসকেই গিয়েছিল ইংল্যান্ডের! তবে এক যে ছিলেন বেন স্টোকস! বিশ্বকাপ ফাইনালে একপ্রান্ত আগলে রেখে শিরোপা জয়ের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালি লড়াইয়ে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে অধরা বিশ্বকাপই জেতেন ক্রিকেটের জন্মদাতারা।

এ ম্যাচেও সেই ভূমিকায় অবতীর্ণ হন স্টোকস। শেষ অবধি ১৩৫ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে ফেরেন তিনি। অনেকে তার এ ইনিংসকে টেস্ট ক্রিকেটের সেরা ইনিংস মানছেন। তো এ নিয়ে কী বলছেন ইতিহাসের সাক্ষী? চলুন শুনে নিই, ওর মুখেই।

ঐতিহাসিক জয়ের পর স্টোকস বলেন, আমার ক্যারিয়ারে সেরা দুই মুহূর্তের একটি এ টেস্ট জয়। সত্যি বলতে কী, ঠিক বিশ্বকাপ জয়ের মতো অনুভূতি হয়েছে! অবিশ্বাস্য, অকল্পনীয়, অভাবনীয়, অবর্ণনীয়, অতিমানবীয়- যা-ই বলুন না কেন; এ ইনিংস আমি কোনো দিন ভুলব না। এমনটি আর কখনও ঘটবে বলে মনে হয় না।

তিনি বলেন, মূল কথা হলো- কোনো কিছুর শেষের আগে সমাপ্ত বলতে নেই। লিচ উইকেটে আসার পর আমি পরিষ্কার বুঝে যাই, যা করার আমাকেই করতে হবে। মনে মনে ‘পাঁচ ও এক’ থিওরি ঠিক করে ফেলি। আমি পাঁচ বল খেলব এবং সে এক বল খেলবে। তবে তার ওপর আমার ভরসা ছিল। লিচ নাইটওয়াচম্যান হিসেবে আগেও ভালো করেছে। এ ছাড়া লংগার ভার্সসের ক্রিকেটে তার ৯২ রানের ইনিংস আছে।

লিডসে প্রথম ইনিংসে মাত্র ৬৭ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। গেল ১৩২ বছরে এক ইনিংসে এত কম রান করে টেস্ট জিততে পারেনি কোনো দল। তবে সেটিই করে দেখিয়েছেন ইংলিশরা।

এ টেস্টের প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া অলআউট হয় ১৭৯ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৪৬ রান করেন অজিরা। ফলে জয়ের জন্য স্বাগতিকদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৫৯ রান। খেলতে নেমে মাত্র ২৮৬ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে ফেলেন তারা।

তখনও দরকার ছিল ৭৬ রান। এর ৭৪ রানই করেন স্টোকস। শেষ পর্যন্ত তার হার না মানা ১৩৫ রানের ইনিংসে ১ উইকেটের শ্বাসরুদ্ধকর জয় পায় ইংল্যান্ড। রোমাঞ্চকর-নাটকীয় এই জয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঐতিহাসিক ৫ ম্যাচ অ্যাশেজ সিরিজে ৩ টেস্ট শেষে ১-১ সমতায় এনেছেন ইংলিশরা।

তবে হারে অস্ট্রেলিয়ারও দায় আছে। স্টোকসের সামনে অসহায় হয়ে পড়েন তারা। বল করতে পারেননি পরিকল্পনামাফিক।