ট্রাম্প প্রশাসনে কৌশলগত গুরুত্ব পাবে বাংলাদেশ

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

যুক্তরাষ্ট্রের নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) দমনে যে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন, তাতে কৌশলগত কারণে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রশাসনের কাছে বাংলাদেশ বিশেষ গুরুত্ব পাবে বলে এক মার্কিন বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন।

 

মঙ্গলবার দক্ষিণ এশিয়া বিশেষজ্ঞ লিসা কার্টিস বলেন, ‘ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে বাংলাদেশ হবে এক গুরুত্বপূর্ণ দেশ।’ লিসা হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের সদস্য। এই প্রতিষ্ঠানটি অন্যতম মার্কিন নীতি-নির্ধারক।

 

ওয়াশিংটনে উডরো উইলসন সেন্টার আয়োজিত ‘পলিটিকস, সেকিউরিটি অ্যান্ড এক্সট্রিমিজম ইন বাংলাদেশ অ্যান্ড পলিসি ইমপ্লিকেশনস ফর দ্য ট্রাম্প অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ শীর্ষক এক সেমিনারে রাখা বক্তব্যে লিসা বলেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক সহিংসতার জন্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হচ্ছে।

 

বাংলাদেশে আইএস-এর প্রভাব বাড়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে লিসা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আইএস-এর বিরুদ্ধে লড়াই করা। তিনি অভিযোগ করেন, ‘বাংলাদেশে প্রচারমাধ্যমের স্বাধীনতা কমে আসায়, তার সুযোগ নিচ্ছে ইসলামি উগ্রবাদীরা।’ তিনি আরও বলেন, ‘স্থানীয় গ্রুপের সঙ্গে আইএস-এর সম্পর্কটা কেমন, এই বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়।’

 

লিসা বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার বিষয়ে বলেন, ‘আধুনিক গণতন্ত্রে এক পার্টির শাসন চলতে পারে না। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অধঃপতন বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রবৃদ্ধিকেও প্রভাবিত করছে।’

 

ডেমোক্র্যাসি ইন্টারন্যাশনাল-এর এক জরিপের কথা উল্লেখ করে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। ওই জরিপে দেখা যায়, বাংলাদেশের ৩৮ শতাংশ জনগণ নিজেদের রাজনৈতিক পরিচয় জানাতে চান না।

 

ডেমোক্র্যাসি ইন্টারন্যাশনাল-এর সিইও গ্লেন কোয়ান বলেন, ‘বাংলাদেশ সহিংসতায় জড়িয়ে আছে। আর তার ফায়দা নিচ্ছে রাজনৈতিক নেতারা। বাংলাদেশে রাজনৈতিক সহযোগিতাও অনেক পিছিয়ে রয়েছে।’

 

তার মতে, বাংলাদেশে সুশাসনের জন্য রাজনৈতিক দলের ওপর খুব সামান্যই চাপ রয়েছে। এখানে প্রশাসন বা এনজিও-র ওপরও সরকারের রাজত্ব চলছে বলেও কোয়ান অভিযোগ করেন।

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন