ট্রাম্পের অভিশংসন নিয়ে সাংবিধানিক সংকটের মুখে যুক্তরাষ্ট্র!

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসন নিয়ে সাংবিধানিক সংকটের মুখে পড়তে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

বুধবার (বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার ভোররাত) যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে ট্রাম্পকে অভিশংসনের প্রস্তাব পাস হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ট্রাম্পই প্রথম প্রেসিডেন্ট, যিনি দ্বিতীয়বার অভিশংসিত হলেন।

কংগ্রেসের নিম্নকক্ষের সদস্যরা ২৩২-১৯৭ ভোটে ট্রাম্পকে অভিশংসনের সিদ্ধান্ত দেন। ডেমোক্র্যাটদের আনা এই প্রস্তাবে ১০ জন রিপাবলিকান নেতাও ভোট দিয়েছেন। সহিংস বিদ্রোহে উসকানি দেওয়ার জন্য দায়ী করে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এই প্রস্তাব পাস হয়।

তবে এর ফলেই ট্রাম্পকে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হবে, এমন নয়। মামলা এবার যাবে সিনেটে। আর সেখানেই সমস্যা। ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকবেন। ওই দিনই জো বাইডেন শপথ নিয়ে নতুন প্রেসিডেন্টের আসনে বসবেন। ফলে হাতে আছে এক সপ্তাহ। সিনেট এরপর বসবে ১৯ জানুয়ারি। অর্থাৎ শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের ঠিক আগের দিন। ওই দিন সিনেটে অভিসংশন প্রস্তাব উঠবে। তারপর শুরু হবে বিচার প্রক্রিয়া।

এক দিনে তা কোনওভাবেই বিচার হওয়া সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে একটি সাংবিধানিক সংকট তৈরি হবে। জো বাইডেন ক্ষমতায় চলে আসার পরেও কি অভিশংসনের বিচার চলতে পারে?

বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, এতে সমস্যার কিছু নেই। কিন্তু অধিকাংশ বিশেষজ্ঞের বক্তব্য, যে প্রেসিডেন্ট আর ক্ষমতায় নেই, তার অভিশংসনের বিচারও হতে পারে না। ফলে ২০ জানুয়ারির পর আদৌ সিনেটে বিচার হয় কি না, তা দেখার। তাছাড়া সিনেটে রিপাবলিকানদের সংখ্যা বেশি। এর আগেও তারা ট্রাম্পের অভিশংসন আটকে দিয়েছিলেন। এবারও যদি বিচার হয়, তাহলেও ট্রাম্পকে অভিশংসন করা হবে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

 

সুত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন