ট্রাকচালক-হেলপারকে মারধরের অভিযোগে দু’দফায় মহাসড়ক অবরোধ

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি :
তেলের পাওনা টাকাকে কেন্দ্র করে বগুড়ার আদমদীঘিতে পাম্প মালিকের বিরুদ্ধে ট্রাক চালক ও হেলপারকে আটকে রেখে লাঞ্চিত এবং মারপিট করার অভিযোগে শ্রমিকরা মহাসড়কে যান ফেলে রেখে সড়ক অবরোধ করেন। এতে বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের সান্তাহার বশিপুর বাইপাস মোড় এলাকায় দু’দফায় ২ ঘণ্টাব্যাপী যান চলাচল বন্ধ থাকে। রবিবার দুপুর আড়াইটা থেকে ৪টা এবং সাড়ে ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করা হলে মহাসড়কের দু’পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

ট্রাক শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, রবিবার দুপুরে উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের বশিপুর বাইপাস মোড়ে হা-মীম ফিলিং স্টেশনের সামনে ট্রাক রেখে তেলের বকেয়া টাকা দিতে আসেন চালক শহিদুল ইসলাম। এরপর পাম্প মালিকের কাছে বকেয়া ১৯ হাজার ৩১৯ টাকা পরিশোধ করে রশিদ বুঝিয়ে নিয়ে বের হচ্ছিলেন ট্রাক চালক। কিন্তু টাকাটি বুঝিয়ে পেয়েই পাম্প মালিক ডায়মন্ড, তার ছেলে রাহি ও ম্যানেজার আরিফ হোসেন ওই চালক এবং চালকের সাথে থাকা হেলপার সুমনকে লাঞ্চিতের এক পর্যায়ে অফিস রুমে আটকে মারপিট করেন। খবরটি ছড়িয়ে পরলে মুহুর্তেই অর্ধশত শ্রমিকরা সেখানে এসে মহাসড়কে যান ফেলে রেখে সড়ক অবরোধ করেন।

তবে পাম্প মালিক ডায়মন্ড হোসেন মারপিট করার কথা অস্বীকার করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চালক শহিদুল তাদের সাথে লেনদেন করতো। কিন্তু গত ৬মাস যাবৎ তিনি পাম্পে আসা বন্ধ করে দেন। পাওনা টাকা না দেয়ার জন্য তিনি নানা ধরনের তালবাহানা শুরু করেন। তবে রবিবার দুপুরে তিনি স্ব-ইচ্ছায় টাকা পরিশোধ করতে আসেন। এমন খবরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে এবং দু’পক্ষকে নিয়ে মিমাংশার টেষ্টা চালান। কিন্তু শ্রমিকরা কিছুতেই তা মানছিলেন না। বিকেল সাড়ে ৪টায় ফের তারা রাস্তায় যানবাহন দিয়ে বেরিকেট দেন।

এদিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে ট্রাক চালক শাহীন আলম, রফিক হোসেন ও সোহাগ হোসেনসহ বেশ কয়েকজনের সাথে কথা হয়। তাঁরা পাম্প মালিক ডায়মন্ড ও ছেলে রাহির বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ করে বলেন, এর আগেও ড্রাইভারদের সাথে অশোভন আচরন করেছেন। বকেয়া টাকা দিতে দেরি হলেই মারপিট করাসহ নানা ধরনের হুমকি দিয়ে থাকেন। তারা এই পাম্প মালিকের সুষ্ট বিচারের দাবি জানান।

সান্তাহার পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক আব্দুল ওয়াদুদ জানান, ঘটনাস্থলে এসে শ্রমিকদের শান্ত করা হয়েছে। কোনো ধরনের অপৃতীকর ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এবং মিমাংসার জন্য দু’পক্ষকে নিয়ে বসা হয়েছে। তাদের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

স/রি