টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে রোহিঙ্গা নারীসহ নিহত ৩

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক: জেলার টেকনাফে পুলিশ ও বিজিবির সঙ্গে পৃথক বন্দুকযুদ্ধে রোহিঙ্গা নারীসহ তিন ‘ইয়াবা কারবারি’ নিহত হয়েছে।

রোববার ভোরে টেকনাফের মৌলভীবাজার এলাকায় পুলিশের সঙ্গে এবং একই উপজেলার দমদমিয়া নাফ নদীর ওমরখাল এলাকায় বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ছয়টি এলজি বন্দুক, ২০ হাজার পিস ইয়াবা ও ১৮টি তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানান, ভোর রাতে একদল কারবারির ইয়াবা বিক্রির খবর পেয়ে টেকনাফ উপজেলার মৌলভীবাজার এলাকায় অভিযানে যায় পুলিশ।

এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ইয়াবা কারবারিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। বেশ কিছুক্ষণ গোলাগুলির পর ইয়াবা কারবারিরা পিছু হটে।

পরে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুজনকে পাওয়া যায়। তাদের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক কক্সবাজারে রেফার করেন। কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ দুটি কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।

অপরদিকে টেকনাফস্থ বিজিবির ২ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক শরীফুল ইসলাম জোমাদ্দার জানান, ভোরে টেকনাফের দমদমিয়া ওমরখাল নাফনদী এলাকায় টহলে বের হন বিজিবি সদস্যরা।

এ সময় কিছু লোক মিয়ানমার থেকে ওমরখাল পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করে। তাদের থামার সংকেত দেয় বিজিবি। কিন্তু বিজিবির সংকেত অমান্য করে উল্টো বিজিবি টহল দলের ওপর অতর্কিতে গুলি বর্ষণ ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করে।

তখন আত্মরক্ষার্থে বিজিবি পাল্টা গুলি চালায়। উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় ১০-১৫ মিনিট গোলাগুলি হয়। অস্ত্রধারী চোরাকারবারিরা গুলি করতে করতে খালের কিনারা দিয়ে পালিয়ে যায়।

গুলির শব্দ থামার পর, টহল দলের সদস্যরা এলাকা তল্লাশি করে একজন নারীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নৌকার মধ্যে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে স্থানীয়রা তাকে রোহিঙ্গা নারী বলে শনাক্ত করেন। এ সময় ১০ হাজার পিস ইযাবা ও তিনটি লোহার ধারালো কিরিচ উদ্ধার করা হয়।

মৃতদেহটি টেকনাফ থানার মাধ্যমে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।