টি-টোয়েন্টিতে মমিনুলের ‘নতুন জীবন’

সিল্কসিটিনিউজ ডেস্ক:

বোলিং শুরু করেননি এখনো, তবে এখন প্রতিদিন সাত সকালে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের জিমে ঘাম ঝরানোর পাশাপাশি বোলিং মেশিনে ব্যাটিংও করছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। বঙ্গবন্ধু বিপিএল সামনে রেখে কাল সকালেও করলেন। একই দিনে বিকেলে দেখা গেল দীর্ঘ বিরতির পর অনুশীলনে ফিরেছেন আসন্ন বিপিএলে মাশরাফির সতীর্থ তামিম ইকবালও। দুজনের আরেক সতীর্থ টেস্ট অধিনায়ক মমিনুল হককেও দেখা গেল। তাঁদের সঙ্গে কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনকেও দেখা যাওয়ায় মনে হওয়া স্বাভাবিক যে বিপিএলের দল ঢাকা প্লাটুনের প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গেল বোধ হয়। যদিও দলটির কোচ সেই ভুল ভাঙিয়ে দিলেন, ‘দলের অনুশীলন শুরু হয়নি এখনো। তামিম আর সৌরভের (মমিনুল) সঙ্গে ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনুশীলন আমরা প্রায় সময়ই করে থাকি। আজও করছি সেটিই।’

লম্বা সময় খেলার মধ্যে না থাকা তামিম তাঁর প্রিয় কোচের সান্নিধ্যেই আবার শুরু করলেন অনুশীলন। কলকাতা টেস্টে ‘পেয়ার’ পাওয়া মমিনুলও যেন কাল ঢুকে পড়লেন তাঁর ‘কমফোর্ট জোন’-এ। ভারতে টেস্ট সিরিজ ভালো যায়নি মোটেও। এমন সময়েই প্রিয় কোচের শরণাপন্ন হওয়াটা মমিনুলের জন্য আরো বেশি অর্থবহ হয়ে ওঠার কারণ আবার বিপিএলও। জাতীয় দলের সাবেক কোচ চন্দিকা হাতুরাসিংহের সময়েই সীমিত ওভারের ক্রিকেটে অপাঙেক্তয় হয়ে উঠেছিলেন তিনি। শুধুই টেস্ট ব্যাটসম্যানের তকমা এঁটে দেওয়া হয়েছিল। এমন নয় যে এরপর আর বিপিএলেও দল পাননি মমিনুল। পেয়েছেন তবে সেই বিকেএসপি জীবন থেকে তাঁকে জানা এবং বোঝা কোচ সালাউদ্দিনকে এবার কোচ হিসেবে পেয়ে গেছেন বিপিএলেই। যেটি মমিনুলের জন্য বড় এক স্বস্তির জায়গাও। এমনই যে সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটের ক্রিকেটে নতুন এক জীবনও পেয়ে যেতে পারেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

কোচ সালাউদ্দিন দিয়েছেন সেই বার্তাই, ‘বাংলাদেশে কি এখনো সব ফরম্যাটের জন্য আলাদা বিশেষজ্ঞ বের হয়েছে। আমার কাছে মনে হয় ওকে এ রকম তকমা (টেস্ট ঘরানার) এঁটে দেওয়াটা ভালো।’ যোগ্যতার নিরিখেই ঢাকা প্লাটুন মমিনুলকে দলভুক্ত করেছে বলে জানালেন বিপিএলের সব শেষ আসরের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কোচ, ‘এটি পুরো পেশাদার দল। এখানে কারো ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়া নেই। দলের জন্য যেটা জরুরি, ওই পজিশনে সে উপযুক্ত কি না, এসব ভেবেই আসলে প্রত্যেক খেলোয়াড়কে নেওয়া হয়। কোনো খেলোয়াড়কে আমার লাগবে বলে মনে হলেই আমি তাকে নেব।’ মমিনুলকে দারুণ টি-টোয়েন্টি উপযোগী ব্যাটসম্যান বলতেও দ্বিধা করলেন না সালাউদ্দিন, ‘আমার কাছে মনে হয় না সে ধীরে খেলে। বরং অনেক খেলোয়াড়ের তুলনায় সে বেশি স্ট্রাইক রোটেট করতে পারে বলেও মনে করি আমি। টি-টোয়েন্টিতে শেষ দুই বছর হয়তো ওর ভালো যায়নি। তবে নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে এবার সে সফল হবে।’