টর্নেডো নয়, যেন বিধ্বংসী বোমায় বিধ্বস্ত কেন্টাকি!

গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ টর্নেডোর আঘাতে লণ্ডভণ্ড যুক্তরাষ্ট্র। এর গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৩৬৫ কিলোমিটার। ভয়াবহ টর্নেডোর আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে দেশটির কেন্টাকি অঙ্গরাজ্য। দেখে মনে হবে ব্যাপক বিধ্বংসী বোমায় বিধ্বস্ত একটি শহর।

শুক্রবার রাত থেকে নিয়ে শনিবার পর্যন্ত দেশটির ছয়টি অঙ্গরাজ্যে অন্তত ৩০টি টর্নেডো আঘাত হেনেছিল। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, টর্নেডোর আঘাতে অন্তত ৮৪ জন নিহত হয়েছে। তবে মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

টর্নেডোতে আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মিসৌরি, আরকানসাস, ইলিনয়, টেনেসি ও মিসিসিপি অঙ্গরাজ্য।

একটি মোমবাতির কারখানায় সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে বলে জানিয়েছেন

কেন্টাকির গভর্নর অ্যান্ডি বেশেয়ার জানান, টর্নেডোটি ওই কারখানাটিতে সরাসরি আঘাত হানার পর সেটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

মেফিল্ড শহরের ওই কারখানাটির ধ্বংসস্তূপের মধ্যে জীবিতদের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। এ পর্যন্ত কারখানাটি থেকে ৪০ জনের মতো জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

টর্নেডোতে উদ্ধারকর্মী সংস্থার যন্ত্রপাতি, পুলিশ স্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উদ্ধার তৎপরতা কঠিন হয়ে পড়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে।

কেন্টাকির গভর্নর বলেছেন, ‘টর্নেডোর আঘাতে যা ঘটেছে তা বর্ণনা করা কঠিন। এ রকম দৃশ্য আমি কখনো প্রত্যক্ষ করিনি।’

কেন্টাকির এক অধিবাসী বলেন, ‘আমি ঘরের ভেতর থেকে বুঝতে পারছিলাম বাইরে কিছু একটা হচ্ছে। এটা ছিল বোমা বিস্ফোরণের মতো।’

জানা গেছে, টর্নেডোগুলো মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলে যাত্রাপথের ২০০ মাইলের মধ্যে বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন অবকাঠামো নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে গেছে। কেন্টাকির একটি ছোট শহরের মোমবাতি কারখানা, অগ্নিনির্বাপন ও পুলিশ স্টেশন পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। ধ্বংসস্তুপে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারের আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা।

 

সূত্রঃ বাংলাদেশ প্রতিদিন