ঝানু কূটনীতিক ব্লিংকেনকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী করছেন বাইডেন

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মঙ্গলবার নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম ঘোষণা করতে যাচ্ছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ঝানু কূটনীতিক অ্যান্টনি ব্লিংকেনের ওপর ভরসা রাখছেন বাইডেন।  বাইডেনের ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স, আলজাজিরা ও ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে এ তথ্য দেয়া হয়েছে।

বারাক ওবামার কেবিনেটে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের দ্বিতীয় শীর্ষ কর্তাব্যক্তি হিসেবে কাজ করেছেন অ্যান্টনি ব্লিংকেন। তিনি ডেপুটি সেক্রেটারি অব স্টেট ছিলেন। এ ছাড়া একই প্রশাসনে ৫৮ বছর বয়সী ব্লিংকেন উপজাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদেও ছিলেন। কূটনীতিতে তার দক্ষতা প্রশ্নাতীত। ওবামার সেই প্রশাসনে জো বাইডেন ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট। বাইডেনের দীর্ঘদিনের আস্থাভাজন ব্যক্তি অ্যান্টনি ব্লিংকেন।

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে ব্লিংকেনকে বৈশ্বিক মিত্রতার রক্ষাকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে চীনের সম্প্রসারণবাদী নীতিকে টেক্কা দিতে ব্লিংকেনকেই বেছে নিচ্ছেন বাইডেন। প্রত্যয়ী ব্লিংকেন গণমাধ্যমকে বলেছেন,  আগামী দিনে বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রকেই সক্রিয় নেতৃত্ব দিতে হবে।

অ্যান্টনি ব্লিংকেনের কাজের ধরন সম্পর্কে পরিচিত লোকজন তাকে ‘কূটনীতিকদের কূটনীতি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তাদের ভাষ্যমতে, তিনি সুচিন্তিত মানুষ। তিনি তুলনামূলক মৃদুভাষী। তবে পররাষ্ট্রনীতির খুঁটিনাটি দিক সম্পর্কে তিনি খুবই অভিজ্ঞ ও ঝানু।

মার্কিন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ঘনিষ্ঠ সহযোগী জ্যাক সুলিভানকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা করতে যাচ্ছেন বাইডেন। আর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ৩৫ বছর ধরে কাজ করা টমাস-গ্রিনফিল্ডকে জাতিসংঘের যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে বেছে নিচ্ছেন তিনি। তবে এসব বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ বাইডেনের ট্রান্সিশনাল টিম।

 

সূত্রঃ যুগান্তর