জয়পুরহাট-২ আসনে কে হবে ধানের শীষের চুড়ান্ত প্রার্থী?

নিজস্ব প্রতিবেদক, জয়পুরহাট:
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে জয়পুরহাট-২ (কালাই-ক্ষেতলাল-আক্কেলপুর) আসনে কেন্দ্র থেকে প্রাথমিক পর্যায়ে ধানের শীষের মনোনয়নের প্রত্যায়নপত্র পেয়ে বিএনপির মনোনীত দুই প্রার্থী।

সাবেক দুই সাংসদ জেলা বিএনপির সহসভাপতি প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা ও আবু ইউসুফ মোঃ খলিলুর রহমান গত বুধবার মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। একই দলের একই প্রতীক উল্লেখ করে এই দুই সাংসদ মনোনয়নপত্র দাখিল করায় শেষ পর্যন্ত এদের মধ্যে চুড়ান্ত মনোনয়ন পেয়ে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে কে নির্বাচন করবেন, তা নেতা-কর্মী ও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে কয়েকদিন ধরে চলছে নানা জল্পনাকল্পনা।

কালাই-ক্ষেতলাল-আক্কেলপুর এ তিনটি উপজেলা মিলে জয়পুরহাট-২ আসন। ১৯৯১ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত টানা চারবার বিএনপি থেকে আবু ইউসুফ মোঃ খলিলুর রহমান সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। সে সময়ের মধ্যে তিনি একবার জাতীয় সংসদের হুইপের দায়িত্বও পালন করেছেন। সেনাবাহিনীর সমর্থিত তত্ত্বাকধায়ক সরকারের আমলে তিনি বিএনপি ছেড়ে কর্ণেল (অব) অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টিতে যোগদান করেন। সেই সুযোগে ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন পান প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা। ওই নির্বাচনে তিনি নির্বাচিতও হন। তখন থেকে তিনি মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের নিয়ে এ তিনটি উপজেলায় বিভিন্ন সময়ে দলীয় প্রোর্গ্রাম পালন করে আসছেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহন না করায় আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে যায়।

সাবেক সাংসদ আবু ইউসুফ মোঃ খলিলুর রহমান সে সময় বিএনপি থেকে চলে যাওয়ার পর দীর্ঘ ১০ বছরের বেশী সময় ধরে তিনি জয়পুরহাটের রাজনীতিতে একেবারেই নীরব ভূমিকা পালন করেন। বলতে গেলে তিনি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতা-কর্মী ও সাধারণ ভোটারদের নিকট থেকে বেশ দুরত্ব বজায় রেখে চলেছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহন করবে এমনটাই ভেবে তাকে দলে আবারও ফিরিয়ে আনেন। এ ক্ষেত্রে জয়পুরহাট-২ আসনের জন্য দলীয় মনোনয়নপত্র ক্রয় করেছিলেন ওই দুই সাংসদসহ মোট ১৫ জন।

জয়পুরহাট জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মমতাজ উদ্দিন মন্ডল বলেন, এ আসনে দুইজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছে এটা বড় বিষয় নয়, আসলে একজনই থাকবে। শেষ পর্যন্ত দল যাকে রাখবে, সবাই মিলে তার হয়েই কাজ করবে নেতা-কর্মীরা।

স/অ